অবাক পৃথিবী
- বেঞ্জিন বেঞ্জয়েট ২৩-০৪-২০২৪

মাঝ পথের পথিক হয়ে হেঁটে হেঁটে চলি ,
ধূলিমাখা ঘাস ফুল পড়েছিল আর্তনাদে ঢলি ।
কত কথা বলেছিল মুখে, শত ব্যথা বুকে চেপে ,
একবার শ্রবণে বুকটা উঠেছিল হূহূ করে কেঁপে ।
শত প্রবঞ্চনা সয়ে পথ মাঝে পড়ে থাকে বিবর্ণে ,
তাদের ক্রন্দন আজো পৌঁছেনি সভ্যতার কর্ণে ।
সভ্যতা কারে বলে জানেনা ওরা এই সভ্য যুগে,
অসভ্য ধূলিকণা-নোংরামি যায় তারা সদা ভুগে ।
তাই তারা আজো জানেনা জীবনের স্বচ্ছ রূপ,
সহযোগী নাই কেউ তাই তারা থাকে সদা চুপ ।
নাই কেউ তাহার মুখ-মাথায় দিবে তেল-জল ,
নাই কেউ তাহারে আহার দিয়ে করবে সবল ।
আছে সবাই সভ্য যুগে রঙমাখা ভবেতে বেহুঁশ ,
কারো তরে কেউ নই এইতো সভ্যতার ফানুশ ।
সভ্যতা মানেই বুঝি সেজে থাকা ঘোর স্বার্থপর ,
সভ্যতা মানেই বুঝি অন্যের বুকে পায়ের আঁচড় ।
সভ্যতা মানেই বুঝি হায়েনার রূপ নিয়ে থাকা ,
সভ্যতা মানেই বুঝি সতত পাপে পুণ্যকে ঢাকা ।
যদি এই হয় সভ্যতা আমি হবো অসভ্য জাতি ,
অসভ্য জাতি হয়ে ঘাস ফুলের হবো মম সাথী ।
হয়ে আমি এন্টি-সভ্যতা সভ্যের বুকে দিবো থাবা ,
মিশে দিবো ধূলিকণায় সভ্যতার আছে যত বাবা ।
কোন যুগে এসে আমি কিবা হায় পেলাম ,
অবাক পৃথিবী ! সেলাম তোমাকে সেলাম ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।