শরতের কবিতা-9
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী - আমার কবিতা ১৯-০৪-২০২৪

এসেছে শরত ফুটেছে বকুল
শিউলির ডালে ফুটিল কলি।
জোড়াদিঘিতে ফুটেছে কমল
হাসিছে সবই পাপড়ি মেলি।

বনে কেয়াফুল সুগন্ধ ছড়ায়
পুজো এসে গেল কাছে।
বিহগের দল করে কলতান
শাখে শাখে নাচিছে গাছে।

সোনালী রোদ্দুর ঝরিয়া পড়িছে
ঐ সুনীল আকাশ হতে।
পূজোর গন্ধে ভরেছে ভুবন,
তাই ধরণী উঠেছে মেতে।

কিষানের বধূ আঁখি জলে ভাসে
হয়নিকো আজও পূজোর বাজার।
নতুন জামাকাপড় কিনিবে কেমনে যারা
জোটে না দুবেলা, দুমুঠো আহার।

আর দেরি নেই এসে গেল পূজো,
পূজোর কেনাকাটা হল শুরু।
পূজোর বোনাস পাবে কি এ মাসে
শ্রমিকের বুক করে দুরু দুরু।

বোনাসের দাবীতে শ্রমিকের শ্লোগান
পূজোয় বোনাস দিতে হবে।
বোনাস না দিলে কেউ কাজে আসবে না
শ্রমিকদের ধর্মঘট চলবে।

কারখানা লকআউট বন্ধ কলের চাকা
মালিকপক্ষ ক্ষেপে ওঠে।
তারপর সূযোগ বুঝে সাত পাঁচ না ভেবে,
ঝুলিয়ে দিলো তালা মেন গেটে।

পূজোর প্যাণ্ডেলে ভিড়ে, চোখ আসে জলে ভরে
কৃষক শ্রমিক করে হাহাকার।
ঢাকের বাজনা শুনে বিসর্জনের দিন গোনে
দেবী প্রতিমার আজি মুখভার।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।