আমার কিছু পুরানো কবিতা
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী - আমার কবিতাগুচ্ছ ১৯-০৪-২০২৪

Wednesday, 9 December 2015
ভারতসূর্য ডুবে গেল হায়

সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে,
ছোট্ট একটা দ্বীপ ইংলণ্ড,
অধিবাসী মাত্র পাঁচ কোটি।

চল্লিশ কোটি ভারতবাসীকে
রাখল করে পরাধীন,
ভারতে তারা গড়লো নীলকুঠি।

ভারতের স্বাধীনতা সূর্য
হল চির অস্তমিত,
ব্রিটিশ হলো ভারতে ভাগ্যবিধাতা।

জননী কাঁদিছে পড়িয়া ধূলায়,
বঙ্গদুলাল আয় ফিরে আয়,
ডাকিছে তার সন্তানেরে ভারতমাতা।

লর্ড কার্জন ভারতে এসে,
সিদ্ধান্ত নিল অবশেষে,
তাই করিল সে বঙ্গ বিভাজন।

পূর্ব বঙ্গ পশ্চিম বঙ্গ,
ভারতবাসী হল ছত্রভঙ্গ,

ছিন্ন হলো আজ মায়ার বন্ধন।



Posted by Lakshman Bhandary at 06:13 No comments:
Email This
BlogThis!
Share to Twitter
Share to Facebook
Share to Pinterest

যদি আবার ফিরে আসি

যদি পারি আবার ফিরে আসব
এই বাংলায়, এই সবুজ বাংলায়।
এ গাঁয়ের মাটি, নদী, আর
মানুষদের ভালবাসার টানে,
আবার ফিরে আসব
এ গাঁয়ের শীতল, সবুজ ছায়ায়।

এ গাঁয়ের মাটিতে সোনা ফলে,
বর্ষায় ভেজা মাটিতে
সোঁদা সোঁদা গন্ধ,
আবার শরতের শিউলির
গন্ধে চিত্ত ভরে ওঠে মোর।
তাই যদি পারি আবার ফিরে আসব
এই বাংলায়, এই সবুজ বাংলায়।
আমার প্রাণ শীতল করা
এ গাঁয়ের সবুজ ছায়ায়।

আমি দেখেছি
এ গাঁয়ের মাটিতে ফলে সবুজ ফসল।
আমি শুনেছি,
মন মাতানো রাখালিয়া সুর
এ গাঁয়ের শীতল তরুছায়ায়।
আমি আরও শুনেছি,
এ গাঁয়ের বৃক্ষ শাখে বসি
দোয়েল কোকিল গান গায়।
তাই যদি পারি আবার ফিরে আসব
এই বাংলায়, এই সবুজ বাংলায়।
এ গাঁয়ের শীতল, সবুজ ছায়ায়।

এ গাঁয়ের মাটি, আমার মা,
এ গাঁয়ের মানুষ, আমার দেবতা,
এ গাঁয়ে ছায়া আছে, মায়া আছে,
আছে মাটি মায়ের বুকে
সবুজ ফসলের সম্ভাবনা।
তাই মাটি মায়ের ডাকে
যদি পারি আবার আমি ফিরে আসব
এই বাংলায়, এই সবুজ বাংলায়।

এ গাঁয়ের শীতল সবুজ ছায়ায়।




Posted by Lakshman Bhandary at 06:11 No comments:
Email This
BlogThis!
Share to Twitter
Share to Facebook
Share to Pinterest

শ্মশানে ফুলের চারা

নদীর তীরে নৌকা বাঁধা,
নাইকো মাঝি ঘাটে।
জোছনা কাঁদে বালুচরে
চাঁদ ও তারার সাথে।

নদীর জলে জোছনা ঝরে,
ঝিকিমিকি করে তারা,
তারা ফোটে আকাশের গায়,
রাত জেগে দিশাহারা।

নদীর কূলে কেহ নাই,
শ্মশানে জ্বলছে চিতা।
ফুল-বাগিচায় ঘুমিয়ে গেছে,
মাধবী অপরাজিতা।

জোছনারাতের ঝলসা আগুনে,
শ্মশানে পুড়িছে দেহ।
ঘাট নির্জন, নিশুতি রাতে
নদীতটে নাই কেহ।

নিশুতি রাতে ঘুমায় শহর
সারা পৃথিবী জুড়ে,
শ্মশানঘাটে ফুলের চারা,
বের হয় মাটি ফুঁড়ে।





Posted by Lakshman Bhandary at 06:09 No comments:
Email This
BlogThis!
Share to Twitter
Share to Facebook
Share to Pinterest

সাঁঝের সানাই

দিনের আলো শেষ হয়ে যায়, সুয্যি ডোবার পরে,
সাঁঝের বেলায় জ্বলে ওঠে দীপ, বাংলার ঘরে ঘরে।
সন্ধ্যে বেলায়, তুলসী তলায়, প্রদীপ জ্বালায় বধূ,
কান পেতে শুনি, দূর হতে দূরে, শংখের ধ্বনি শুধু।

ঢাকের শব্দে মেতে ওঠে পাড়া, কাঁসর ঘণ্টা বাজে,
সন্ধ্যা আরতি হয়ে যায় শুরু, দেবীর মন্দির মাঝে।
সাঁঝের তারা উঠল ফুটে, চাঁদ ওঠে নীল আকাশে,
নদীর জলে চাঁদের কিরণে, জোছনার রাশি ভাসে।

চাঁদ তারা হাসে আকাশের গায়, শিশুরা মাতৃ-ক্রোড়ে,
রাত্রি গভীর ঘুমায় শহর, গ্রাম সড়কের মোড়ে।
সাঁঝের সানাই বেজে ওঠে দূরে, পাখিরা বাসায় ফেরে।
নির্জন গাঁয়ে আঁধার নামে, গ্রাম ঘুমোয় আঁধারে।

রাত্রি নিঝুম, অলস শরীর, ঘুম নেই মোর চোখে,

জোছনা রাত, কেটে শেষে, ভোরের পাখিরা ডাকে।
Posted by Lakshman Bhandary at 06:07 No comments:
Email This
BlogThis!
Share to Twitter
Share to Facebook
Share to Pinterest

Friday, 4 December 2015
গাঁ মাটি ও মানুষ

বিশ্বজুড়ে খেলাঘর মোর, গাঁয়ের শীতল ছায়া।
হিজলি বট, অশ্বত্থ গাছের মমতা মাখা মায়া।

জোড়াদিঘি তার দুই পাড়ে, তাল খেজুরের সারি,
কুকুরগুলো পাড়ে এসে তার, করে কভু মারামারি।

আম কাঁঠালের বনে কোকিল, কুহু স্বরে গান গায়
দিগন্তে লাল সুর্য লুকায়, তেঁতুল গাছের শাখায়।

পাড়ার মাঠে ভিড় জমায়, মোর গাঁয়ের যত ছেলে,
কানামাছি, হা ডু ডু আর, রোজ ফুটবল খেলে।

গায়ের মাঝে জোড়া বটতলা, রবিবারে হাট বসে,
পথের পাশে চায়ের দোকান, চা খেতে সবে আসে।

গাঁয়ের শেষে মদের দোকান, রাতে সেথা ভিড় জমে,
নেশার ঘোরে চোখ দুটো লাল, তবুও নেশা না কমে।

চণ্ডীতলার আটচালা ঘরে, শুনি রামায়ণ গান।
ভোরের বেলায় পাখিরা গায়, রাত হলে অবসান।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।