ইভটিজিং
- সাইফ রুদাদ ২০-০৪-২০২৪

ইভ টিজিং প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি, পথেঘাটে উত্যক্ত করা বা পুরুষ দ্বারা নারীনিগ্রহ নির্দেশক একটি কাব্যিক শব্দ যা মূলত ভারত , পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে ব্যবহৃত হয়। ইভ দিয়ে পৌরানিক আদিমাতা হাওয়া অর্থে সমগ্র নারীজাতিকে বোঝানো হয়। আজকের প্রবন্ধে সমস্ত সত্য তুলে ধরতে পারলেও সত্য নাম প্রকাশে আমি অপারগ। কারণ যদি সত্য নাম প্রকাশ করি তবে মেয়েটার জীবনের পথ হয়তবা এখানেই স্তব্ধ হয়ে যাবে। এই নাম প্রকাশে অপারগতাই প্রমাণ করে নারী এবং লেখক নিজে কতটা অসহায় এই সমাজের কাছে। যাহোক মেয়েটার নাম দিলাম প্রিয়াঙ্কা, ছেলেটার অর্জুন। উলঙ্গকাল থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে এ যাবত আমার চোখে ইভটিজিং ধরা পরে নাই। হয়ত তারা ভয়ে আমার সামনে এসব করতে সাহস পেত না। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে একদল থাকার কারণে আত্মগোপনে আছি। যার ফলশ্রুতিতে সঠিক স্থানটাও প্রকাশে আমি অপারগ। প্রিয়াঙ্কার সাথে আমার পরিচয় ছ'মাস আগে, দেখতে সুন্দর হলেও এসমাজের অন্য সুন্দরির মত প্রিয়াঙ্কা কখোনও অর্ধ উলঙ্গ থাকত না, যদিও সে জাতিতে হিন্দু। অবশ্য জাত আনার কারণ হিন্দু ধর্মে পর্দা নেই, না থাকলেও হিন্দু ধর্ম অশ্লীলতা সাপোর্ট করে না। আমার খোঁচা খোঁচা দাড়ি ও পরণে পাঞ্জাবি দেখে বলল, আমি নাকি কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত। যাহোক প্রাইভেটে নিয়মিত উপস্তিত থাকার কারণে প্রিয়াঙ্কা ও অন্যদের সাথে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। একদিন কলেজ গেট থেকে প্রাইভেটে যাচ্ছি আমি আর প্রিয়াঙ্কা । একটু এগুলেই সিনেমা হল, হলের সামনে অর্জুন বাইক নিয়ে বসে আছে। প্রিয়াঙ্কা কে ডাক দেওয়ার পর সে গেল। কি কথা হলো জানি না,প্রাইভেট শেষে বলল অর্জুনকে পুলিশে দিবে; জানতে চাইলে বলল খুব বিরক্ত করে। গালাগালিও করে দিয়েছে আজকে প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে সঙ্গে বলল না পুলিশে দিলে ক্ষতি ; কারণ ঘুষ খেয়ে ছেঁড়ে দিবে তখন মহাবিপদ। অন্য একজন বন্ধু সুস্মিতা, মুসলিম। তাঁকে বিরক্ত করে মুন্নি। এখানে লেসবিয়ান এর একটি বিষয় চলে আসে। মুন্নি সুস্মিতাকে এমন ভাবে বিরক্ত করে যা কোনো পুরুষ দ্বারা নারীকে বিরক্তও হার মানায়। এটাও এক ধরণের ইভটিজিং তবে এর নাম অন্য। সুস্মিতা মুন্নি প্রসঙ্গ শেষ করেও করতে পারলাম না; মুন্নি আমাকেও বিরক্ত করে মাঝে মাঝে; লেখাটার মাঝ খানে ফোন দিল, সুস্মিতা পড়তে আসছে কিনা,পড়ালেখা ঠিকমত করে কিনা,শুকিয়ে গেছে কিনা কি সব আজগুবি প্রশ্ন করল। আজ প্রাইভেটের মাঝে প্রিয়াঙ্কার চেহারা মলিন ও উদ্বিগ্ন ছিল। পড়া শেষে অটো গাড়িতে করে উল্টো পথে রওয়ানা হলো,বিষয়টা আমার চোখে বিঁধল। সুস্মিতা কে বললাম ওনা কলেজ মাঠ পেরিয়ে ওই রোডে বাসায় যায় আজ উল্টো কেন? সুস্মিতা বলল অর্জুন পিঁছু নিবে তাই। যেহেতু রাস্তার বাঁম দিক হতে গাড়িতে চড়ব তাই কলেজ মাঠের দিকে চোখ পড়ল। দেখলাম অর্জুন বাইক নিয়ে কলেজ মাঠের দিকে চোখ বুলাচ্ছে। বুঝালাম প্রিয়াঙ্কা কে খোঁজতেছে। না পেয়ে মিটার আশিতে উঠিয়ে ভোঁ প্রিয়াঙ্কার নিত্যদিন কার পথ ধরে। পাঁচ টাকার পথ কলেজ গেট থেকে আমার বাসা। বাসায় ঢুকবো এমন সময় অর্জুন আমার সামনে বাইক থামাল,বলল প্রিয়াঙ্কা কি অটোতে উঠছে কিনা? জানি না উত্তরে বলল, তোমার সাথে কোন মেয়েটা ছিল? মোল্লা সুমি উত্তর পেয়ে আবার ভোঁ। বাইকের পিছনে নতুন বছরের একটা ডায়েরি দেখা গেল। নারীবাদী নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন গত ২৪ ডিসেম্বর'১৫ "বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার কলামে লিখেছিলেন " সতীত্বের পাহারা" " শিরনামে একটি কলাম।সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবীতে এক সময় পুরুষ "নারীর সতীত্ব" পবিত্র রাখার জন্যে এক মহা সৃষ্টি আবিষ্কার করেছিল ; যা বর্তমানের তালার মত। তারা নারীর কটিদেশে তালা ঝুলিয়ে দিত এবং চাবি সাথে নিয়ে নিশ্চিন্তে দেশ দেশান্তর ঘুরে বেড়াত। সেই পুরুষ জাতি নারীর কটিদেশে দেওয়া সতীত্বের তালা খুলে দিয়েছে ঠিক দেয়নি স্বাধীনতা। বরং আগে তারা একা ভোগ করত এখন ভোগ করে পুরো সমাজের পুরুষ একজন নারী। তসলিমা নাসরিনও একজন বঞ্চিতা নারী কারণ বাংলাদেশে বহু নারীবাদী নাস্তিক লেখক আছে, আছে তাঁর চেয়েও নোংরা ভাষা প্রয়োগ কারী, এদের মধ্যে হুমায়ন আজাদ অন্যতম যে তাঁর নিজের জন্মদাতা মেয়ে নিয়ে এমন সব বলছে যা সভ্য সমাজে বেমানান। কিন্তু নির্বাসন পেল তসলিমা কারণ সে নারী। এই সমাজের শতভাগ লোক আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন কারণ আমি বলি বিবাহ পূর্ব নারী পুরুষ প্রেম আমি ভাল চোখে দেখি না, হয়ত অনেক মুসলমান পণ্ডিত বলবেন যে ধর্মীয় কারণে আমার ধারণা এরূপ। কিন্তু আমি ইসলামি জ্ঞান অর্জন করার আগেই এই ধারণা পোষণ করতাম যে, I can't spare a moment for you. Although I love you too mach because I will concern with my nation, freedom and country. যুব সমাজ জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ, এই যুব সমাজেরর একাংশ যদি অর্জুন আর মুন্নির মত ধ্বংস হয়ে ভিন্ন অংশকে ধ্বংস করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। তবে শুধু প্রিয়াঙ্কা, সুস্মিতাই ধ্বংস হবে না এর সাথে বাতাস,আকাশ,তরুলতা, সহ সাইফও ধ্বংস হবে কারণ সাইফ গতকাল বিকালে "চলে যাও তোমরা সবে" নামক কবিতা জন্ম দিয়েছিল। আজ সেই একই স্থানে বসেছিল কবিতা জন্ম দিবে বলে কিন্তু দিতে পারল না অর্জুন আর মুন্নির ইভটিজিঙে।।

লেখক: সাইফুল ইসলাম সাইফ

০৭ জানুয়ারি'১৬ ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।