রুমাল
- নওশীন শিকদার ২৯-০৩-২০২৪

বৃষ্টি তুমি অরুন্ধতী রহমান হতে পারো?
আমার পাষাণ মূহুর্তগুলোকে ছুঁতে পারো?
আমি কবিতা লিখতে ভুলে গিয়েছি...
বৃষ্টি তুমি কি জানো চোখের জলে লেখা কবিতার কোনো দাম নেই?
অরুন্ধতী রহমান তো একটা নক্ষত্রের নাম...
এমন নক্ষত্র সারা মহাকাশ চষেও পাবেনা কেউ!
আর যে কিনা পেয়েও হারায় তার মতন বদখত মানবী কে আছে?
অরুন্ধতী রহমানের বারান্দায় আমি একদিন বৃষ্টির ছাঁট হয়ে প্রবেশ করবো...
সেইদিন বুঝিবা এক যুগ নাকি কয়েক যুগ পরে!
হেলানো বেতের চেয়ারে একটা মখমলের রুমাল...
পাশে একখানা ঘড়ি, সোনালী কাটায় কাটায় টিক টিক কথার ফিসফিসানি।
আর আমি ওই দূরের মেঘ...
বৃষ্টি আমি তোমার মতন হলামনা কেন?
তোমার মতন করে আকাশকে আগলে রাখা, তোমার মতন করে শতাব্দীর পর শতাব্দী মায়া ঢালার বিদ্যা কেন নেই আমার!
জীবন এতো ছোট কেন...
আমি এতো অবুঝ কেন?
অরুন্ধতী রহমানের চশমার ফ্রেম ছোঁয়া রোদ্দুরে এখনও গা ভেজায় বকের ঝাঁক...
সেইসব বকের মাঝে আমিও আছি,
তফাৎ শুধু আমার ডানায় অজস্র ক্ষত, বৃষ্টিতে ধুয়েও সারেনা ক্ষত...
মরেনা ক্ষত...
আমি রয়ে যাই অবহেলিত, অসহ্য আর এঁকগুয়ে রকমের জীবিত।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।