একজন ধৈর্য্যবান
- নওশীন শিকদার ১৮-০৪-২০২৪

এই যে "আপনি "
শুনছেন?
শুকনো মুখে ঘোরাঘুরি শেষে বাড়ি ফিরেই কারো গল্পকবিতা খোঁজার নেশা কতকাল পুষবেন?
পদ্মফুল দেখেছেন, কাঁটাও নিশ্চয়ই চোখ এড়ায়নি?
কাঁটার বেশে অপমান করেছি ইচ্ছাকৃত...
কিছু মনে করেননি তো?
কিছু মনে করাটা উচিত ছিলো অবশ্য!
চড়ুই দেখেছেন, কিন্তু চড়ুই যে রোদে ঝরঝরে বালি ভালোবাসে তা জানেননা নিশ্চয়ই?
জানা উচিত, কারন নতুন কিছু ভাববার নেশা আপনার!
তবুও কেন এতো পুরোনোকে মনে রাখা?
সময়ের সাথে সাথে সবাই পাল্টায়, আপনি পাল্টাবেন কবে?
শুনুন, কড়াইশুঁটির পাতায় হাঁটা শিশিরদের দেখবেন সময় পেলে...
নাকি সেই সময় নেই আপনার?
আপনার ধৈর্য্য দেখে ঠিক মানুষ মনে হয়না আপনাকে...
আচ্ছা আপনি কি অন্য জগতের বাসিন্দা?
ভুল করে এথায় জন্মেছেন?
বড্ড সন্দেহ!
পৃথিবীতে এখনও আশ্চর্য কিছু ধৈর্য্য বেঁচে আছে,
আপনাকে না দেখলে বুঝি একথা জানাই হতোনা আমার!
মানুষ কতোটা নাছোড়বান্দা হতে পারে
কতটা পাগল হতে পারে
সেটাও জানা হতোনা!
আপনি অনুপ্রেরণা দিতে পারদর্শী,
সত্যি বলতে লেখালিখিতেও মন্দ না
তাহলে এতো দক্ষতার ঝুলি আড়াল করেন কোন দুঃখে?
অবাক হচ্ছেন আমার মুখে এমন বাক্যালাপে?
আচ্ছা অবাক হওয়ার অধ্যায় শেষ করেন, তারপর বলেন দেখি
কে আপনি?
কী দরকার এতো খেয়াল রাখার?
আমি আকাশ নই জেনেও কী দরকার আমাকে নক্ষত্র ভাবার?
অবশ্য আমি এক প্রকার নক্ষত্রই!
দূরে রই চিরদিন,
দূরেই রইবো বাকিটা পথ।
দূর থেকে বলবো...
ভাল থাকবেন, সরষে ফুলের রঙের মতন উজ্জ্বল হাসিতে সবাইকে হাসানোর চেষ্টায় ভাল রাখবেন স্বভাবমতই!
স্বপ্ন দেখবেন হারিয়ে যাবার, এখনকার মতই।
অথবা গল্প লিখবেন অসমাপ্ত কোনো গ্রীষ্মের কৃষ্ণচূড়ার রঙে...
বেলগাছের গুড়িতে হাঁটা পিঁপড়েদের সম্মেলনে শরীক হতেও পারেন,
যা ধৈর্য্য আপনার!
এই যে "ধৈর্য্যবান" !
আমি থাকি না থাকি
থাকবে হাসানোর চেষ্টায় রেগে যাবার গল্পগুলো,
ভাবছেন এসব কোথায় থাকবে?
পৃথিবীতে অনেক পাতা আছে, একটা না একটা পাতায় থাকতে হবেতো অবশ্যই!
কী বলেন?
থাক, জবাব দিতে হবেনা।
সব কথার জবাব দেয়াটা বোকামো।
থাক নাহয় কিছু গল্প ছেঁড়া ছেঁড়া টুকরো মেঘেদের মতন,
কুয়াশায় ঢাকা পার্বত্য অঞ্চলের শীতল খাল বিলে ওড়া ব্যস্ত পাখিদের চকিত চাহনির মতন!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।