যখন বৃষ্টির গুমট সাদাধূয়া
- দেবজ্যোতিকাজল ২৯-০৩-২০২৪

পথের মাঝে দাঁড়িয়ে শ্রাবণ সন্ধ্যা । একুশ বছর । স্যাঁতস্যাঁতে চাঁদের আলো । সবোর্ণায়া স্ট্রীট । রোজ দেখা হতো গোলির মোড় থেকে ন্যাড়া ছাদে । বাদামী কুঁচি দেওয়া লম্বা মেক্সি । হলুদমাখা বিকেল । যৌবন সুলভ রোদ ।তামাটে নগ্ন বাহু । ঝিনুক রঙা হাঁটু । ফুটন্ত আলকাতরার মত , রজনীর মত কালো চোখ । নরম চামড়া । শিশুর মত হূৎস্পন্দন । একুশ বছর ধরে পোষমানা বেড়ালটা ঘুরঘুর করছে মাছের গন্ধে । আবলুস কাঠের ফটকে আঁকা নিঃস্পৃহ একুশ বছর । তবু , হাত ধরে আছি । নার্সিসাস গুচ্ছ কবিতায় । বিবন্ন চোখ । চোখের চত্বরে । আর বস্তা পচা কথা । জমাট হাসির গুঁড়ো । আস্তে আস্তে রাস্তা পেরয় জলের তীরে । তারপর , ধুপ করে বসা । মনে আছে ? দৌরাত্ম্য ভালবাসা ! নির্নিমেষ কৃতজ্ঞ । আমাকে বুঝতে চেষ্টা করনি ।নিরীশ্বরের মত বিতর্ক , ঝগড়া , সে এক বিতিকিচ্ছি ব্যপার ছিল । তার কোনো বিবর্ত নেই । তুমি সবসময়ই ভাবতে আমি বুঝি তোমার চার লাইনের কবিতা । ……সত্যি কি দারুণ বিশ্বাস । একুশ , একুশটা বছরের চিঠি । প্রত্নরোদে পোড়া ডাকপিয়ন । দ্বিধায়তি জীবন দিয়েছিল । নির্বিকল্প । খুঁইয়েছি সন্মান , সঙ্গে যৌবন । বিশ্বাস ক’র ! দ্বিধা ছিল না ।নিরুদ্ধ দেখা । যেমন দেখলে , দুষ্প্রাপ্য চিন্তা ছুঁতে পারে না । কখনও কখনও মেঘ জড়িয়ে প্রত্যায়ী প্রার্থনা । মাঝেমাঝে মুচকি হেসে ঠোঁট ফাঁকা সেলফি । তুমি চোখের সামনে , মনের সামনে । বিবৃত ঠিকানা বিদ্যুত আলো ছড়াও মর্দনে । অস্থিরতা মায়াময় দেহ এক অসামান্য আয়না । স্বভাবত আলোর সাঁতার জমাট নৈর্ঋত । তিনগ্রহপ্রেম , বিনতি জীবন প্রতিবিম্ব সুখে থেকো । হিরের কুচির মত পলকশূন্য ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।