জলকণা
- নওশীন শিকদার ১৯-০৪-২০২৪

জলকণারও ঠোঁট থাকে
চোখ থাকে, আস্ত একটা মন থাকে।
আমি বোহেমিয়ান জলকণা, শাস্ত্র বিরোধী এক পাপী!
কপোতাক্ষের ঢেউ দিয়ে বিনুনী বাঁধা আমার চুল।
গির্জার বিবাহ অনুষ্ঠানে নববিবাহিতদের চুম্বনের সিক্ততা বা মন্দিরের ঘটির জল নই
বরং বাগদাদী গোলাপের বুকের খুশবুময়ী জলকণা,
কখনওবা আমি আরব্য রজনীর উপকথার গায়ে লেগে থাকা চোখের জল,
শ্লীলতার সঙ্গোপনে ফোটা এক অদম্য অশরিরী।
জলকণা এখনও গড়ায় চাঁদনী রাত শেষে সিন্ধু নদের অন্ধকার গহ্বরে।

জাফরাণী নেকাবে গড়িয়ে পড়া অসময়ী বৃষ্টির জলকণা হয়েছিলাম,
সুবেহসাদিকের বক্ষবন্ধণীরূপী কুয়াশার নরম আস্তরণ আমি;
আমার ঠোঁটেও রঙ থাকে আসমানী রক্তরঙা সন্ধ্যার!
ঘুঙুরের বন্দী প্রাচীন শব্দে আমার অস্ত্বিত্ব মেশে না
আমি ব্যাবিলনীয় উদ্যানের একরত্তি হলুদ প্রজাপতির গা ভেজানো ঝরণা মাত্র।
আমার মতন জলকণাদের কাগুজে কাবিননামায় আটকে রাখা অসম্ভব
কলাপাতায় মুড়িয়ে হৃদয়ে রাখা যায় খুব।
খেজুরবাগানের সুমিষ্ট রস হতে গিয়েও ফিরে আসি নায়াগ্রা জলপ্রপাতমুখে
শেষমেষ জলকণা আমি ফেরারী প্রেমিকা চিরন্তন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।