পরামর্শ
- সোহেল আহমদ ২৯-০৩-২০২৪

এ যাবৎ কতজনকেই তো পড়তে দেখেছি;
জামানার এই স্যাঁতসেঁতে প্রান্তরে পড়ে আছে
কত বিস্ফোরিত প্রাণের বলিরেখা,
মুখ থুবড়ে পড়ে কারো দাঁত ভেঙ্গেছে,
পা পিছলে পড়ে কতজনই হয়েছে পঙ্গু,
কারো কারো রক্তাক্ত দেহের দগদগে ছাপ
এখন আবার বিগত কালের নকশায় শোভা পাচ্ছে!
আর তাই ভয়ে গা কেঁপে ওঠে যখন
আকাশকে পড়তে দেখি মাটির প্রেমে;
তরুরাজিকে যখন দেখি উপোষী রাহুর মত
কামড়ে ধরে আছে মাটিকে,
মাটির প্রেমে হন্তদন্ত হওয়া এ কালের
মানুষগুলোর বিভ্রান্তি দেখে আমার বুক ধড়ফড় করে!
প্রেমে পড়া যে কত যন্ত্রণার- তা
কেবল আত্মহননকারীরাই জানে!

তাই বলি- আর যা-ই করো বালিকা,
হুট করে এই কোলাহলে নিজেকে বিকিয়ে দিওনা;
এতে কারো কিচ্ছু অাসে যায়না ঠিকই, কিন্তু-
তোমার কলঙ্কিত হাড়-গুড়ো'র দাগগুলো যে ইতিহাসে আতঙ্কের স্বাক্ষর হয়ে রবে!
দোটানায় পড়ে অতৃপ্ত আত্মার প্রতিটি কণা
অভিশাপ হয়ে রবে সর্বকালের সচিত্র প্রতিবেদনে!

তোমাকে আরো কঠোর হতে হবে বালিকা,
হতে হবে মহাকালের মৃত্তিকারূপী মহীয়সী!

আর সেজন্যে তুমি ঢালু করে রেখো
তোমার জলাশয়ের পিচ্ছিল সম্মুখপথ;
যাতে করে প্রেমের আশায় ধাবমান
প্রেমিকেরা বারবার আছাড় খেয়ে
পথেই পড়ে যেতে থাকে যুগের পর যুগ;
শেষমেষ সকল বৈরিতা ডিঙিয়ে
যে তোমার সুঢৌল বুকের ওপর এসে পৌছবে-
তার জন্য সাজিয়ে রেখো বিজয়ের বরণডালা!

প্রেমকে বাঁচিয়ে রেখো তার জীবনের প্রয়োজনে!
অহেতুক পৃথিবীটাকে ভিজিয়ে দিওনা কামের রাসায়নিক দূষণে,
অকালে মরতে দিওনা এই অসহায় মানুষগুলোকে,
আকালে শুকিয়ে যেতে দিওনা এই সমাজটাকে!

তুমি আরো উর্বর হও বালিকা,
আরো উর্বরতা দাও আমাদের এই লোকারণ্যে!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।