ধন্যবাদ মা
- ফয়জুল মহী ২৮-০৩-২০২৪

(১ম পর্ব)-----------------ধন্যবাদ মা--------------এই টেষ্টার শুন শালা।জুতা পালিশ, জুতা পালিশ।ওই টেষ্টার রাখ তোর জুতা পালিশ,শিকারি পাইছি একটা।আইতাছি শলোমান ভাই।পরি আবে জলদি আয় না।সরকারি খাদ্য গুদামের পাশে নিরাধার ঘরের বাসিন্দা শলোমান,টেষ্টার,পরি ও ট্রাফিক।পনর বছর বয়সি রগ ছাড়া শলোমান দল নেতা হয়ে ইতি মধ্যে পটুতায় কর্মময় জীবনের অধিকারী।পরি অজানা গম্যের নারী।কিন্তু টেষ্টার,এ কেমন নাম!! আধি,আধি ওহ মাথাটা যেন নতিময়।চাচা দিন আপনার ব্যাগটা আমি বহন করি।না লাগবে না।আরে দিন না।বচসা চলতে থাকে বৃদ্ধের ব্যাগ বহন করার জন্য।টেষ্টার জানে পঙ্গু আতর মিয়া তার বাবা,কুলসুম বিবি মরে যাওয়ায় মা বিরহিত সে।রেল স্টেশনই তাদের রাজ্য আর তারা হল নরপতি।এই নরপতিরাই আবার কখনো কখনো জঠরানলে কবলে পড়ে শিকার খোজে।আজও তাই তাদের ঘাতনহীন এই অনীক।তুমুল কলহে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায় এর মাঝে টেষ্টার এক ভদ্র লোকের মানি ব্যাগ নিয়া নিলীন।ও আমার মানি ব্যাগ, চোর চোর ওহ চোর। সব মানুষ হতচেতন হয়ে চোরের দিকে তাকিয়ে থাকে।চাচা হাফ ছেড়ে বাঁচে।কয়েকজন লোক ও রেল পুলিশ টেষ্টারকে ধাওয়া করে পিছনে পিছনে শলোমান ও পরি।এই পুলিশী ধাওয়ার মাঝেও হরেকরকম আছে,আছে প্রকারভেদও।স্টেশন হতে কলেজের পিছন দিয়ে দিঘীর উত্তর পাড়ে।মানি ব্যাগটা কলেজের পিছনে কচু ক্ষেতে ফেলে দেয় যা অবধান করে শলোমান।পরি,ট্রাফিক ও শলোমান আস্তে করে নাড়ান হয়ে যায়।দিঘীর পাড়ে গিয়ে টেষ্টার নিজে বসে পড়ে সাথে পুলিশ ও মানি ব্যাগের মালিক ভদ্রলোকও।ওই মাদার....হারামি দেয় দেয় মানি ব্যাগ দেয়(কষে দুই গালে থাপ্পড় মারে)।আপনারা একটু শান্ত হউন আমি জিজ্ঞাস করি।এই যে বাবা আমার ব্যাগটা দিয়ে দাও।ব্যাগের সব টাকা তোমার আমি শুধু ব্যাগটা ফেরত চাই।কি নাম তোমার,তোমার মত আমার দুইটা ছেলে মেয়ে আছে আর তাদের চবি এই ব্যাগে অফিস শেষে রাতে বিছানায় শুয়ে আমার সন্তানদের চবি দেখি কারন ছুটির অভাবে অনেক দিন দেখতে পারি না তাদের( টেষ্টারের চোখ হতে পানি পড়ে ফোটা ফোটা)।(চলবে) (২য় পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা--------------নাম বল হারামি(পুলিশ টেস্টারের পেটে কষে একটা লাথি মারে)।প্রচন্ড ব্যথায় আঁকুচন হয় টেস্টার আর এমনি মুখ হতে একদলা লালার সাথে বের হয়ে আসে টেস্টার।তোমার কোন ভাল নাম আছে।আরে চাব রেল স্টেশনে বড় হওয়া পোলার আবার ভালা নাম।আমি তোমাকে আরো কিছু টাকা দিবো তবুও আমার ব্যাগ ফেরত দাও।ভদ্র লোক টেস্টারকে বুকে চেপে ধরতে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে।ভদ্র লোকের বাম চোখ হতে ওঘ ঝরে টেস্টারের মাথায় আর দেখে পুলিশ হাসে।আই ব্যাগঠা কচু ক্ষেতে ফালাই দিছি।এই প্রথম টেস্টার সত্যের জমিনে পা মাড়ালো।মিষ্টি মিষ্টি রৌদেও চিকন চিকন ঘামে ভরপুর সবার আনন।মাটিতে বসে ভদ্রলোক হাত দিয়ে কপাল মুছে।কত দিন টেস্টারের জামা ক্ষালিত হয়নি টেস্টার নিজেই জানে না।শার্টটির উপরে নিচে সব মিলে দুইটা বোতাম আছে।হাফ শার্টটাই যেন টেস্টারের গায়ের আবরক তাতে কপালের ঘাম কোন মতে লাগাতে চায় না সে।একে অপরের মুখপানে চেয়ে প্রস্তানে পা বাড়ায় পুলিশদ্বয়।আমার সন্তান শহরের নামি স্কুলে বসে এখন পাঠরত আর টেস্টার ভয়ংকর এক পকেট মারে ব্যস্ত।দোষটা কার বাবা মার,সমাজ রাষ্টের,না টেস্টারের।রেল স্টেশানে কেন তার জীবন আটকে থাকবে,কেন সে পাবে না মিষ্টি মিষ্টি রোদের ভরপুর আলো।এই রোদ তুমিও কি হীন আচরন করো এইসব মানব ভুমিহীন সন্তানদের সাথে।সাদা সাদা সারস চুপ করে পানিতে পা ডুবিয়ে দাড়িয়ে আছে শিকারের অপেক্ষায় যেমন থাকে টেস্টারেরা।বিহ্বল হয়ে বসে থাকায় পদচারিগন আড় চোখে দেখে চোখের ব্যায়াম সেরে নিচ্ছে কিন্তু আমার উঠার স্মৃতিচিহ্ন নাই।আমি যেন শক্তিহীন জিন্দালাশ,আজ রাতে ছবি দেখে মেয়েটার কপালে আদর দেওয়া হবে না,উফঃ।চোখে আজ হয়তো সুপ্তি আসবে না আসলে ভালোই হতো তার পিঠে ভর করে আমার উর সমান সন্তানেরা স্বপ্নে আসতো।তাদের আদর দিয়ে সারবান হতো আমার দেহ মন।সাদা রোদ পেরিয়ে সাদা মেঘের ঘোড়া চিহ্ন ঘেমটায় বসে টেস্টারদের দেখতাম।শলোমান ভাই টেস্টার আইছে।তোরে কি বেশী মারছে পুলিশ,তারা শলোমান ভাই হতে টাকাও নিয়াছে।যা পরি,ব্যান ব্যান করিস না তো।আমার খুব ভুখ লাগছেরে পরি।তুই বয় আই রুটি নিয়া আইরে।মুখে চপেটিকার নিশান দৃশ্যমান।হা করতে যেন অপ্রীতি হচ্ছে।পেটে লাথি দিল শালা হারামি পুলিশ তাই তকলিফ হচ্ছে।লও রুটি খাও দরদ একটু কম হইবো।আয় পরি তুই একটু খা।না না টেস্টার তুই খা আজজার মত এমন দখল আর যায়নি কোন দিন।পরিরে বাহিরে আন্ধার তোর আর আমার মত।(চলবে) (৩য় পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা---------------ওই শলোমান টেয়া কইরে।আমার কাছে আছে কোন চিন্তা করো না টেস্টার ভাই।শালার কত বড় পাছা আর টাকা শুধু এক হাজার ব্যাগে তাও আবার পাঁচশত পুলিশ চাচারা নিল।এই শলোমান ভাই টাকা আজকাল বহুত মানুষ পাছার মধ্যে কম রাখে।তা হাচা কথা টেস্টার ভাই"আইলো দারুন ফাগুনরে....রে রে রে"নেয় পরি তুই পঞ্চাশ টাকা আর ট্রাফিক পঞ্চাশ টাকা।এই নাও একশ পঞ্চাশ টাকা আর পঞ্চাশ টাকা পরে নিও।কেন পঞ্চাশ টাকা পরে নিব,কথা ছিল তুই আর আই সমান সমান ভাগ।হুম,এখন তা হবে না আর সব মতলব আমি করছি।পুলিশের মার কে খাইছে,আই খাইছি।আরে রাখনা টেস্টার ভাই।আমি তো তোমার সাথে মজা করতেছি,পঞ্চাশ টাকা কোন পকেটে রাখলাম।এই ঢের শেয়ানা বাম পকেটে না ডান পকেটে পঞ্চাশ টাকা।আরে টেস্টার তোমাকে এই জন্য ওস্তাদ মানতে হয়।আমার আক্কেল আর তোমার কাজ টেস্টার ভাই। "আইল দারুন ফাগুনরে রে রে রে" এ ট্রাফিক তুই পঞ্চাশ টাকা কি করবিরে।নয়া শার্ট খরিদ করমু শলোমান ভাই।কি করবি নয়া শার্ট দিয়া ট্রাফিক।করিম শেখের হোটেলে থালা-বাসনের ধৌয়ার কাজ করতে নতুন শার্ট গায়ে দিয়ে যেতে বলছে।তোর গায়ের শার্টটা ঠিক আছে এই শার্ট গায়ে দিয়ে হোটেলে থালা-বাসান ধৌয়ার কাজ করা যাবে।শালা আমি চাই তোমরা পয়সা কামাও আর এই লোক যাইতেছে হোটেলে বাসন ধৌয়ার কাজে ।তুমি জানো না করিম শেখও একদিন হোটেলে বাসন ধৌয়ার কাজ করতো,তারপর ম্যানাজার,তারপর হোটেল কিনলো আর এখন বড় বড় দালানের মালিক আমিও তার মত হতে চাই।হাঃ হাঃ হাঃ তুই বিলড়ার বনে যাবি।হ্যা,শালা তুমি কি বুঝবা বিনা বুঝেও হাঃ হাঃ হাঃ।আরে ট্রাফিক পঞ্চাশ টাকার লটারি কিনলে তুই দুশো টাকা পাবি তাতে শার্ট প্যাট দুইটাই কিনতে পারবি। এই পরি এই দিকে আয় তুই পঞ্চাশ টাকায় কি করবি।আমিও পাখী ড্রেস কিনবো শলোমান ভাই।পাখী ড্রেসের অনেক দাম তুই কি করবি এত দামী ড্রেস দিয়া।আরে শলোমান ভাই রাতে রিক্সায় চড়ে মেয়ে মানুষ যায় যে দেখো না আমিও তাদের মত যাবো।আরে তারা তো পাউডার ক্রিমও লাগায়।আমিও লাগাবো এই জন্য তো টাকা জমা করবো।আরে তার জন্যতো মজবুত এক প্লান আমার কাছে আছে একে দশ লটারি।অতি দুরে বসে শলোামানের চাল বাজি শুনে টেস্টার মুচকি হাসে।প্রথম একবার এরকম বলে আমার পয়সা জলে ফেলছো।আরে পিছের কথা বাদ দাও রাত গেছে বাতও গেছে এবার একদম পাক্কা ।তা হলে এই নাও টেয়া।দাও টেস্টার ভাই তোমার টাকা দাও । তোমার দুইশ টাকায় তো হাজার টাকা এসেই যাবে ।ওই শলোমান বাচ্চা লোকদের বেকুব বানাতে পারবি আমাকে না।কি?আমি টাকা দেব না। তাহলে আমি রমেশকে কথা দিয়ে রাখছি যে।জাহান্নামে যাক তোর রমেশ।এমনিতে আমার টাকা দরকার আছে।শালা তুমি হাসপাতালের দারোয়ানকে টাকা খাওয়াতে পারিস আর আমি চাইলে পাছায় মরিচ লাগে।তোর বাপের টাকা না আমার টাকা আমি যা মন চায় তাই করবো।যা মাতারি যা আমার সামনে থেকে।দুইজনে মারা মারি লেগে যায়।শলোমান ধাক্কা মেরে টেস্টারকে মাটিতে ফেলে দেয় টেস্টারও জুতা ছুড়ে মারে।ঝগড়ার এক পর্যায় পরি ও ট্রাফিক পালিয়ে বাঁচে।তারা মাটিতে লুটিয়ে গড়াগড়ি করে।শলোমান উঠে দৌড়ে পালায় টেস্টার বসে বসে কান্না করে।মাদার...আমার পকেটটা ছিড়ে ফেলছে।বার বার টেস্টার নিজের পকেট দেখে যেন পুরাতন শার্টটাই জীবন।(চলবে)(৪র্থ পর্ব)-----------------ধন্যবাদ মা-------------মারে তোরে ছাড়া জীবন চলে না,মারে তোরে ছাড়া বাঁচতে পারছি না।ও মা,মারে একবার কাছে এসে মাথায় হাত রাখ না,একবার কাছে এসে কপালে আদরের পরশ দেয় না।নিরত রাস্তায় হরেক রকম গাড়ীর ভিতরে লাফিয়ে লাফিয়ে চলার ফাকে ফাকে টেস্টার বিশ তলা আধুনিক মা ও শিশু হাসপাতাল পরতাল করায় নিজেকে সান্দ্র রাখে।চোখ বউল হাসপাতালের কারুকাজ যেন রোগ কমিয়ে আনে অর্ধেক।কিন্তু আজ এত মা ও শিশুর মন্ডলী কেন,টিকা দিবস মনে হয়।কোন কোন শিশুর হাসি যেন গোলক জয়ময়,আজ শিশুর কান্নাও যেন তাই মনে হচ্ছে।আচকা এক রোগী বহনকারী গাড়ী ছুটে আসে সগর্ভা মহিলা নিয়ে আর এমনি সব মহিলা গাড়ীকে ঘিরে জটলা বাধে।এই যাও যাও এখানে সব মরতে আসে এখন না মরলেও হাসপাতালের ভিতর গিয়ে মরবে যাও তোমরা গিয়ে লাইনে দাড়াও।আরে যাও না ঠান্ডা মারা ছাড়া হয় না যাও লাইনে যাও তোমাদের বাচ্চা লাইনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বড় হয়ে যাবে।আরে আমার সোনা তুই কখন আসলি।কাকা আমারে সোনা কেন ডাকলে।আরে বাপু আমি বুড়া দারোয়ান মানুষ তুই সপ্তাহ সপ্তাহ নাম পরিবর্তন করলে আমি কি করে মনে রাখি।আজ হতে টেস্টার ডাকবে আমাকে। ঠিক আছে এইটাই ডাকবো।এইটাই শেষ নাম আমার টেস্টার,কাকা কেউ কি আসছে আমার খোজে (ছিড়ে যাওয়া শার্টটের পকেট বার বার হাত দিয়ে ডেকে রাখতে ব্যর্থ তুরপুনে চেষ্টায় লিপ্ত)।চল চল এক পাশে গিয়ে বসি আজ কিছু কি আনলি না যে আমার জন্য।আরে কাকা বলো না কেউ আসছে কিনা।এদিকে আয় ওই সিড়িতে বসে কথা বলি।এই নাও কাকা তোমার বোতল(ফেনসিডেল)।এই এই সবার সামনে দিবি নাকি লুকিয়ে রাখ লুকিয়ে রাখ।এইতো আমার সোনার চাঁদ দেখ গত সপ্তাহে কেউ আসেনি এই সপ্তাহেও এখনো কেউ আসেনি।তুই কোন চিন্তা করিস না সামনের সপ্তাহ দেখি।এই হাসপাতালে প্রতিদিন লোকজন আসে তাদের বাচ্চার খোজ নিতে।পতিতার ইচ্ছা বদলাতে সময় যেমন লাগে না তেমনি তোর ভাগ্য বদলাতেও সময় লাগবে না। এখন যা আমার একটু কাজ আছে।ঠিক আছে কাকা।রেল স্টেশান এবং হাসপাতাল রূদ্ধই তাই কাকার সাথে দেখা করতে পারি সদা।আবে মাদার...ছেড়ে দেয় আমাকে কি করছি আমি।চল চল হারামির বাচ্চা থানায় চল।এই মারবেন না ছোট বাচ্চা।স্যার এদের শরীরে বিড়ালের হাড় এদের কিছুই হবে না।নতুন দারোগা স্যার ভাল মানুষ তাই ছেড়ে দিলাম।কেউ মারলে মা মা কেন মুখে আসে তাহলে অবশ্যই আমার মা জীবিত আছে। কিন্তু লোকজন পৌরসভার ডাস্টবিন ডাকে যে মা তাহলে ভাল নাম কেন রাখেনি। কি নাম তোর।টেস্টার।ভাল নাম কি? স্যার রেল স্টেশানের এদের বাস তাদের আবার ভাল।এই আমার কোর্টে উটকা চলবে না।চার মাসের সাজা দিলাম যান নিয়ে যান শিশু আশ্রমে। এই দিকে আয়,ভয়ের কোন কারন নাই।শিশু সংশোধন কেন্দ্রের প্রধান পরিচালক আমি আমার সব কথা তোমাকে শুনতে হবে।আয় আয়,দেখি তোমার কচি কচি হাত দুইটা।পরিচালক টেস্টারের হাত দুইটা নিয়ে নাকের কাছে ধরে বার বার চুমা দেয় নেশা গ্রস্ত মানুষের মত।কখন গোসল করছো।সকালে করছি।সকালে গোসল করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত কি শরীর ঠিক থাকে,ঘামের গন্ধ হয়ে যায় যে।তুমি কাপড় আর সাবান পেয়েছো।জ্বী পেয়েছি,আমি গোসল করে আসি।আমি এখানে কারো সাথে লড়াই করতে আসি নাই সংশোধন হতে এসেছি।আমি তোমার ফাইল দেখেছি তুমি আরো কয়েকবার এখানে এসেছো কিন্তু আমার সময় এই প্রথম।নতুন সাবান,নতুন কাপড় আর নতুন জীবনের শুরু।এই কোথায় যাও।আপনিতো বললেন গোসল করে আসতে তাই গোসল খানায় যাই।তাহলে কাপড় খুলে যাও।না আমি কাপড় এখানে খুলবো না।এখানে খুলতে হবে,আমার সামনে।মাদার....এই নেয় তোর সাবান।টেস্টার পরিচালকের মুখে সবান ছুড়ে মারে দৌড় দেয় বারিন্দায়।এই ধর ধর কোমর হতে বেল্ট খুলে টেস্টারকে দৌড়াতে থাকে।(চলবে) (৫র্ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা---------------শিশু আশ্রম কেন্দ্রটা যেন ইশ্বরের অর্ধেক ভালবাসার আলো দ্বারা ঘিরা।প্রধান পরিচালক আমার হাত ধরে উড়ু উড়ু আর রুম পরিচর্যাকারী লোকটি আমার হেফাজতকারি।আচ্ছা পরিচালক আমার হাত ধরে এমন রক্তচোখা হল কেন।নতুন শার্টটা যেন জমিনের রং আর কম্বলটা ধোয়ার রংয়ের যার ভিতর যেন আমর্ষ।ঘুম তুমি পরিচালকের কাছে যাও।ওহ! চোখ বন্ধ করলে সে ভয়ংকর রুপ,আচ্ছা আমার বাবাও কি এমন রুপের।ছারপোকা আমি সাদা রক্তের একজন আমাকে কামড় দিয়ে মরে যাওযার এত শখ কেন তোর।যাকে নাকি অনেক ধনবান লাল রক্তের মানুষ ডাস্টবিনে দেখেও না দেখার দমবাজ করে ছিল আর সাদা রক্তের পঙ্গু জুতার কারূক বাবার স্নেহে তুলে এনে টেস্টার বানিয়েছে।হাঃ হাঃ হাঃ পরিচালক তুমি বোকা আত্নাহীন বুড়া আমাকে বাচ্চা পেয়ে বন্দি করতে চাও তোমার হাতে।তুমি জানো না টেস্টারদের জীবন ফোটা ফোটা ফেনসিডেল,তুড়ি তুড়ি গাজার চুমুক,লাল লাল হাত বোমা।এই সব নিয়েই বড় বড় লোকদের হাতে থাকে টেস্টার। রাত যেন লম্বা অনেক লম্বা তারপরও আমি সংশোধন হয়ে বাহির হবো আর বাহির হয়ে মাকে খোজ করবো।এই তুই এখনো ঘুম যাসনি কেন।কাকা চোখ বন্ধ করলেই পরিচালকের আঠাল পদার্থের দলা চোখের সামনে খোয়াব হয়ে ঘুরে তাই আমার ত্রসন ত্রসন লাগছে।হাঃ হাঃ হাঃ আরে আমি তোর পাশে আছি।না কাকা আমি এবার আর পালাবো না।ওটা তোর ইচ্ছা তবে আমি আর পরিচালকের হাত হতে বাঁচাতে পারবো না।আর তুই পরে কোন এক সময় কিছু টাকা দিলেই হবে।শুন এখন সবাই ঘুমে আছে এখন পালাতে সুবিধা হবে তোর।যা আস্তে আস্তে করে রান্না ঘরের ভিতর একটা টিন নড়নড়ে আছে তা দিয়ে বাহির হয়ে যাবি।আমি গেলাম ঘুমাতে। গাড়ী আসার সময় হল টিকেটগুলা হাতে নিয়ে রাখো।আচ্ছা ঠিক আছে আমি ব্যাগের ভিতর হতে বাহির করছি আপনি একটু বাবুকে দেখেন।কোথায় রাখেছো তুমি টিকেট,এখন খুজে পাচ্ছো না যে।এই ব্যাগের ভিতর কাপড়ের সাথেই রাখছিলাম।গাড়ীতে উঠার আগে তাড়াতাড়ি খুজে বাহির করো,তোমাকে দিয়ে একটা কাজ ঠিকমত হয় না কেন।আপনি একটু ধর্য্য ধরুন তো।ঠিক আছে,গাড়ী আসছে মনে হয়।বাবু কোথায়,বাবু?এই নিন আপনার টিকেট।বাচ্চাটা হামাগুড়ি করে কাঁদতে কাঁদতে চলে একদিকে আর বাবা আসঁজিত টিকেট নিয়ে,কেমন বাবা আপনি।বাবু,আমার জান,আমার প্রান।আমাকে দাও একটু।আল্লাহ আমার বাবুর আয়ু দিয়েছে আর একটু গেলেই গাড়ীর.....। তোমার ঋজুতে আজ আমি সত্যই তোমাকে ভালবাসায় বিনীত।সন্তানকে মা শুধু দুচোখের নজরে রাখে না তা তুমি আজ আবার প্রমান করলে তাইতো বলতে হয় ধন্যবাদ মা।আপনি সবসময় আমাকে অকিঁচিত্কর দেখেন,সামন্য দুইটা টিকেট আমার চেয়ে বাচ্চার চেয়ে প্রেয় আপনার কাছে।তুমি রোদন বন্ধ করো এমনিতে বাবু ত্রসনে আছে।তুমি মাতৃভালবাসায় মকুব কর আমার অঙ্কুশ।তোমার এই আঁখি রচক নিখীল সৃষ্টির সেরা বাতি করে সৃষ্টি করেছেন।এই আঁখিতে সন্তানের জন্য অনুবেদন ও স্বামীর জন্য আবার এই নয়নই স্বামীকে অপজ্ঞান করে তার কর্মের জন্য।(চলবে) (৬ষ্ট পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা-------------- আহ্ এত বৃষ্টি যেন বিড়াল কুকুরের লাফালাফি।রন্ধন ঘরটা এত কাছে তবুও যেতে যেন বৃষ্টিকে সমীহ করতে হচ্ছে।আকাশে কলাভৃৎ এর থাকিয়া থাকিয়া প্রভা আর শব্দহীন বৃষ্টির প্রসূনে সিঁচিত হওয়ায় টেস্টার তোমাকে উদ্রি্ত হলে চলবে না।তোমাকে অচঁচল পায়ে চলা ভাল হবে।সবাই ঘুমে অচেতন শুধু আমি সুপ্তিহীন মানব।দরজা অসন্ধিত করতে বৃষ্টির জাপসা মুখে লাগে,মেজাজহীন সত্তায় আকাশের ঝর্নায় আমি ট্রাফিক ও পরির জন্য বিচলিত না হয়ে উপায় নাই।শলোমান শালা মনে হয় আরাম করে তন্দ্রায় মগ্ন কিন্তু ট্রাফিক ও পরি বসে আছে হয়তো। এই বৃষ্টিতে তাদের ললাটের পার্শ্বস্থান পানি পানি হয়ে যাবে,ছাদটা যে বেদাগ গর গর করে পানি ভিতরে পড়বে।দরজাটা নীচু যে দরজা দিয়ে পানির পলল হবে।কি করবি তোরা,ওহে নিয়ন্তা তুমি এই দেহ দিয়েছ তাতে আবার প্রান দিয়ে জীবন দিয়েছ কিন্তু দয়ার কমতি কেন করলে এই ছোট ছোট মানবদের কি অপরাধ আমার ট্রাফিক ও পরির।ইদুরের সাথে লড়াই করে অনেক পুরাতন দুইটা কাথা তুলে রাখা আছে,মনে হয় ছালা আছে দুইটা এখন মগজ খাটিয়ে সেগুলো গায়ে দিলে একটু হলেও প্রনেতার পৃথিবীতে মানব হয়ে ঘুম যেতে পারবে।উত্কলিকায় মাথা যেন ভাবনাযুক্ত করে ফেলছে যাব কি যাব না এই কথায়।না ধীর স্হির হয়ে পা ফেললাম দরজার বাহিরে।রাধা ঘরের ছাল দিয়ে বাহির তো হলাম এখন পাশের দেয়াল বেয়ে নিচে নামতে হবে।ধন্যবাদ হে আমার রচক তুমি এখন বৃষ্টি বন্ধ করেছো বলে ।পরিচর্যাকারী কাকা তোমার পাওনা পেয়ে যাবে কিছু দিন তুমি সবুর করলে।বাসা বাড়ীর গলি নিরাপদ এখন তাই গলির ভিতর গেলেই সুবিধা হবে।কোথায় হতে এক ফোটা জল আমার বাম চোখের নিচে এসে পড়ে একি আমি কাঁদছি কেন,আমিতো ফিরে যাচ্ছি বন্ধুদের কাছে ।গলি হতে বড় রাস্তায় আসতে দেখি একটা হলুদ ট্রাক্সি ক্যাব হতে লোক একজন নেমে ডাস্টবিনের পাশে নতুন পরিধেয় তোয়ালে মোড়ানো কি যেন রেখে দ্রুত চলে যায়।আমি দালানের আড়ালে দাড়িয়ে সব পরতালে নিবিষ্ট থাকি।কিন্তু কিছুতেই ঠাউর করতে পারি না কি জিনিস ছুড়ে ফেল গেল।নব এক কুকুর এসে তোয়ালে টান দিতে এক পরিপুষ্ট বাচ্চা ওয়াও ওয়াও করে উঠে।এমনি আমি এক পাথর ছুড়ে মারি ঘ্যাও ঘ্যাও করে কুকুর পালিয়ে যায়।দৌড়ে এসে বাচ্চাটা নিতে যাব এমন সময় পরিচাকের নেশাগ্রস্ত চেহেরার রক্ত চোখ যে কিনা আমার হাত ধরে অশ্লীল আদর দেয় চোখে ভেসে উঠে।চলে যাওয়ার জন্যপা বাড়াতে বাচ্চাটা কেঁদে উঠে বয়স আর কত হবে ছয়-সাত দিন।বুকে নিয়ে আদর দিতে কান্না বন্ধ বিশাল করে হাসি দিয়ে নাম রাখি স্বাধীন।(চলবে) (৭ম পর্ব)----------ধন্যবাদ মা--------------রেল স্টেশানের ভিতর দিয়ে শর্ট-কার্ট রাস্তায় চলে যাব বাসায়।ওহ শালার এখানে মানুষের মণ্ডলী তারচেয়ে ভাল মাথার উপর সেতুতে কিছুক্ষন সময় বসে থাকি।গাড়ী এসে চলে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ কম হলেই চলে যাব।এই ছোকরা বাচ্চাকে এমন করে নেয় না,গলার নিচে ঠিকমত হাত রাখ।এখন ঠিক আছে ।আবে তেরি মা পুলিশ, আমি দেয়ালের সাথে মিশে লুকিয়ে থাকি।একটা কাজ করে দেখি বাচ্চাটা মাজারে নিয়ে রেখে দেখি মা বাপ বাচ্চা পাওয়ার আশায় হয়তো মাজারে মানত করতে আসতে পারে।মাজারের অন্দরমহলে যাওয়ার সিড়িতে স্বাধীনকে রেখে আমি একপাশে বসে থাকি। হে অদৃষ্ট মালিক দুই দিনের এই বাচ্চাকে তার মার কাছে ফেরত যাওয়ার অয়ন করে দাও।কিন্তু একি সব ললিত স্বাধীনের উপর সিকি আদুলি ও পাঁচ দশ টাকার নোট কেন দিচ্ছে।ওই, এই নাও তোমাদের টাকা পাছার ভিতর ভরে রাখো,আমি টেস্টার তোমাদের মত ভিখারি না।আরে আমরা সাহায্য করছি আবার উল্টা গালি দিচ্ছে ছোকরা।কিসের সাহায্য,আমি ভিক্ষা চাই না স্বাধীনের মা বাপের খোজ চাই।শালা তোমরাতো ভিখারি সাধারন মানুষের রক্ত পেয় শেষে আমাদের জম্ন দাও। এই এই ওখানে দাড়িয়ে থাক।আবে তেরি মা,পুলিশ।ধর,ধর, এই বাচ্চা চোর বাচ্চা চোর।না কিছুতে এই শালার হাতে স্বাধীনকে তুলে দিব না।মসজিদ রোড় দিয়ে কালি বাড়ির পিছনে তারপরও পুলিশ পিছু পিছুু ।এই হারমি ধরতে পারলে জম্ন কিভাবে মনে করিয়ে দিব।গাড়ীর পিছনে বসে থাকি অন্ধকার বলে নাও দেখতে পারে পুলিশ।এই বাহিরে বের হয়ে আয়।গাড়ীর ভিতর মেয়ে মানুষ,ফোন কর বাসায় ফোন কর।বাসায় ফোন নাই।মিথ্যা বলিস ঘরে ফোন নাই চল।এই নিন আমাকে যেতে দিন।যা আর কোন যেন না দেখি।গলির মুখে দাড়িয়ে থাকা হিজড়ার ইশারায় তাদের লেনদেনের সময় আমি গলির ভিতর চলে আসি যাতে হিজড়ার বসবাস। কালা মামু দেয় আমার ভাগ দেয়।কিসের ভাগ তোর।আমার দিকে দেখ আর সোজা পাঁচশত টাকা দেয়। এই ছেড়ে দেয আমি এখন ডিউটিতে,নেয় আর বল এক বাচ্চা...।হাঃ হাঃ হাঃ হিজড়া হতে বাচ্চা চাই তোর আরে বাচ্চার দরকাার হলে তোর স্ত্রীকে গিয়েে বল না।ওই আমার জান আয় এদিকে আয়।এই পকেটে হাত দিবি না একদম জেল পাঠাই দিব।ওরে আমার বাদশা জেল পাঠাই দিবি। ও বাপরে ছেড়ে দেয় আমি যাই।মাত্র আমার দোকানে আসলি আর এখনি চলে যাবি।যা ,ওই মুন্না তুই এবার বাহিরে এসে যা।রাখ আমি দেখি বাচ্চা মেয়ে না ছেলে এই দুই দিনের বাচ্চা তুই কোথায় হতে নিয়ে আসলিরে।চল আমার সাথে চল,আরে দাড়িয়ে আসিস কেন,চল আমার সাথে।আরে চল না,হিজড়াকে কিসের ভয়।আবারও অলি গলি পার হয়ে স্টেশানের পাশে যেখানে হিজড়া সর্দারের বাস। আমাকে নিয়ে আসা হিজড়াটা সর্দারের কানে কানে কি যেন বলে।ঝিলমিল লাইটের আলোয় সাজানো ঘরে উচ্চ স্বরে হিন্দি গান "ওয়াদা না তোড়"।আমি সর্দারের সামনে স্বাধীনকে বুকে নিয়ে দাড়িয়ে থাকি।এই হিজড়া লোক বন্ধ করো গান বাজনা মেহমান আসছে দেখো না তোমরা।এই বসে যা রে,কার বাচ্চা এইটা।আমার বাচ্চা।এমনি সব হিজড়ারা হেসে উঠে।তোর বাচ্চা।আমি পেয়েছি তাই আমার বাচ্চা।কি নাম এই বাচ্চার।স্বাধীন।কে রেখেছে এই নাম।আমি,আর তোর নাম কি।টেস্টার।তোর নাম কে রেখেছে।জানি না।(হাত তালি জোরে) নাম কে রেখেছ জানে না,(হাসতে হাসতে)ওরে এর নাম কে রেখেছে জানে না। ( জোরে জোরে যাতায় সুপারি কাটে)।আমি তার রাগ আর কথায় ভটকে যাই।এই বাচ্চা এখানে রেথে যা।না,রেখে যাব না।কোথায় রাখবি,দুইদিনের বাচ্চা এইটা ,ঠিকভাবে দেখাশুনা না করলে মরে যাবে।ঔষুধ লাগবে,দুধ লাগবে,কাপড় লাগবে ভাল করে সেবা যত্ন করা লাগবে এত সহজ না বাচ্চা পালন।সব কিছু করবো জীবনবাজি রাখবো।(চলবে) (৮ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা-------------হাত তালি দেওয়া হিজড়াদের অভ্যাস কেন বুঝলাম না,তাও আবার কত জোরে আওয়াজ হয় বাপরে।এরা সমাজের নিয্র্যাতনের ফলে সহজাত জীবন হতে দুরে সরে যায়।তাই তারা আলাদা সমাজ গঠে তুলে মুল সমাজ হতে দুরে সরে গিয়ে।মাদক ব্যবসা,অস্ত্রের ব্যবসা,অপহরন ব্যবসা ও চাদাবাজি করে নিজের জীবনের চাহিদা পূরণ করে।অথচ রাষ্ট প্রতিটি নাগরিকের জীবনের মালিক। যা মহিমা কীর্তন তোর সাথে,দুই-চার দিন খেললে বাচ্চার সাথে।যখন ক্লেশিত হয়ে যাবি তখন আমার কাছে রেখে যাবি।তোর স্বাধীন এখানে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারবে বাংলাদেশে আর কোথাও মাথা উচু করে চলতে পারবে না তোর মত সবাই তাকে ডাস্টবিন বলবে। যা নিয়ে যা স্বাধীনকে,শালা হারামি লোক নিজের জম্ন দেওয়া বাচ্চাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে যায় আর হিজড়া আমাদেরকে বলে শালা তোমরা হিজড়া। উফ,সর্দার যে এত কথা বলবে মনেই ছিল না। মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাব একটু মাদের চেহারা দেখতে মন চাইতেছে।আরে পায়ে পায়ে পুলিশ কোন রাস্তায় দিয়ে যে যাই।রাতে যান বিহীন অরব রাস্তায় সৌদামিনীতে পুঞ্জ পুঞ্জ হয়ে মানুষ গাজায় সুখ টান দিয়ে চোখ তামা তামা করছে।এই টেস্টার এই দিকে আয় একটু লালা পানি খেয়ে যা।না মুকু ভাই এখন না খুব জঠরাগ্নি লেগেছে। স্বাধীন তুই এখানো আরাম করে শুয়ে থাক।তোর জঠরাগ্নি লাগে নাই স্বাধীন,তুই খুব ভাল একটুও কাঁদিস না।পরির থলিটা দেখি ওহ একটাই রুটি রাখা আছে।এই টেস্টার তুই শিশু আশ্রয় কেন্দ্র হতে কেন পালিয়ে আসলি। তোর জন্য পুলিশ আমাদের পিছে পড়ে গিয়েছে। তোর জন্য ট্রাফিককে অনেক মার খেতে হয়েছে। ওই খানে আমার মন বসে না। এই দেখ দেখ কি মারা মারছে।শলোমান ভাই দৌড়ে পালিয়ে বেঁচে গিয়েছে।আর ট্রাফিক মার সহ্য করতে না পারে প্যাটের ভিতরে প্রসাব করে দিয়েছে। এই শলোমান ভাই টেস্টার এসেছে উঠ,উঠ নারে বাবা। এখন কোথায় যাব আমরা পুলিশ একটুও শান্তি দিবে না। কেন তুই পালিয়ে আসলি। ওখানে তোর মন না বসলে এই জন্য তুই পালিয়ে আসবি নাকি। তোর জন্য কুত্তার মত মার খেতে হচ্ছে পুলিশের। মার খেয়েছো সবাইকে তাই ধন্যবাদ।এমনি তোর মাথা ঠিক নাই আজকাল। আরে তুই ঘুম যা। তোর আবার কি হল তুই কেন ম্যা করে উঠলি । আবে শালা কি আইটেম এই বাচ্চা কোথায় ফেলে। পৌরসভার ডাস্টবিনে। তুই কেন এখানে আনলি। ওহ কি আদরের বাচ্চা। এই টেস্টার আমাকে দেখা একটু। এই চুপ তোর মা...। এই টেস্টার ফালতু টেনশান চাই না।যা যেখানে পেয়েছিস ওই খানে রেখে আয়। না রাখবো না। এই টেস্টার মেজাজ খারাপ করবি না,যা বলছি তাই কর। আর একটা কথা বললে তোর মাথা পাটিয়ে দিবো,না হয় দারোগাকে নিয়ে আসবো। আহ কি সুন্দর বাচ্চা আ...আ। এই পরি যা ঘুমাতে যা। বাচ্চার ভোগ লাগছে তাই দুধের জন্য কাঁদতেছে। পরি,ট্রাফিক এই বাচ্চার কথা বাহিরে কেউ জানতে যেন না পারে যদি জানে সবাইকে লাথি মেরে এখান হতে ভাগিয়ে দিব। এই টেস্টার বাচ্চা নিয়ে এখান হতে যা। এই ট্রাফিক যা ঘুম যা। চল স্বাধীন আমরা চলে যাই। পরি শলোমান ঘুমিয়ে গিয়েছে চল আমরা টেস্টারের কাছে যাই। এই তোরা আমার পিছে পিছে কি যা তোরা। এদিকে দেয় আমি কোলে নিবো,বাচ্চা কি জোরে জোরে কান্না করছে। (বিরক্ত হয় টেস্টার)বাচ্চা বাচ্চা কি। এর নাম স্বাধীন,এর নাম লাল সবুজ পতাকা,এর নাম বাংলাদেশ। এর নাম রেখেছি আমি।হুম,এখন সে দুধের জন্য কাঁদতেছে। মুখে আঙ্গুল দিয়ে দেখ,দেখছিস এখন কান্না বন্ধ। এত রাতে দুধ কোথায় পাবি টেস্টার। চল দেখি কি করা যায়। (চলবে) (৯ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা--------------ওফ,কত চিল্লান চিল্লায় স্বাধীন।রহিম উল্ল্যার খামার কাছে আছে ওখানে হয়তো গরুর দুধ পাওয়া যেতে পারে।এই পরি রাস্তার এক পাশে আয় দেখ না গাড়ী কত সরবে চলে।পাকা রাস্তায় বড় লোকদের সোনামনিরা গাড়ী নিয়ে রগড় করবেই টেস্টার।আমরা তিনজন গোত্রহীন স্বাধীনকে বাঁচিয়ে রাখতে এক ফোটা দুধ চাই আর সোনামনিরা চলমান খোলা জীপ হতে বিয়ার কৌটা ছুড়ে মারে।ট্রাফিক এই বিয়ার কৌটা তুলে নিয়ে পকেটে নেয়।আরে খালি কৌটা ছুড়ে ফেলেছে তুই কেন মুখে দিচ্ছিস ট্রাফিক।ছোট ছোট দোকান আর ছোট ছোট থাকার ঘর কোন টাতে স্বাধীনতার ভাগ্য আবদ্ধ তা অজানা থাকবে মৃতের আলয় পর্যন্ত।স্বাধীনকে খামারের ভিতর নেওয়া যাবে না পরি তুই আর ট্রাফিক স্বাধীনকে নিয়ে এখানে রাস্তায় বসে খাক।ঠিক আছে তুই যা।ট্রাফিক এই কৌটাটা দেয়।চুপ কর বেটা,চুপ কর রাজা আঃ আঃ।চুপ কর শালা শুধু ম্যা ম্যা করে।আরে ট্রাফিক বাচ্চার সাথে এমন করে না তার ভোগ লাগছে তাই দুধের জন্য কান্না করছে।এই ট্রাফিক তুই একটুদুরে যা আমি আদর করি স্বাধীনকে তাহলে চুপ করবে।আঃ আঃ,চুপ কর চুপ কর।এই ট্রাফিক তুই এদিকে কেন দেখিস,চুপি চুপিও দেখবি না।হাঃ হাঃ হাঃ স্বাধীন আরো জোরে কাদো একফোটা দুধের জন্য,মা (চিত্কার করে) কেন তুমি জম্ন দিলা স্বাধীন কে। দেখ দেখ ট্রাফিক কি জোরে জোরে কান্না করছে আঃ আঃ কাদে না সোনামনি কাদে না জাদুমনি।আমার কাছে দেয় পরি আমি নিয়ে দিখি।যা তুই এখান হতে আমি মেয়ে হয়ে রাখতে পারছি না উনি পারবে রাখতে।ওর খুব ভোগ লেগেছে পরি,টেস্টার কেন যে আসে না এখনো।আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা স্বাধীনের কপালে একটা টিপ দিয়ে যা।ইস,একটু চুপ কর না রে বাবা ওই শালা চুপ।ট্রাফিক এত জোরে কেন ফেটে পড়লি সে বাচ্চা কি বুঝেরে।আঃ আঃ লক্ষি সোনা চুপ কর চুপ কর চুপ সোনা।দেখ দেখ ট্রাফিক আচকা স্বাধীনের চিল্লান বন্ধ হয়ে গেছে।এই চুপ কি করে হল স্বাধীন।ট্রাফিক জোরে গালি দিয়েছে।এই তুইও গালি দিয়েছিস শালি।এই স্বাধীন,স্বাধীন (কান্নারত ) এই নজর দেয় আমার দিকে।ডরালু হয়ে পরি ও ট্রাফিক দেখে, আমার আঁখি জল অবসন্নভাবে স্বাধীনের মুখে গঠিয়ে পড়তেই এমনি স্বাধীন ম্যা করে মুখ অ্সরল করে আমি বুকে জড়িয়ে ধরি।ওর জন্য দুধ এনেছিস টেস্টার।হুম আনছি কিন্তু গরম করতে হবে।গরম কিভাবে করি।চল দেখি ছোট ওই চা দোকানে গিয়ে,তোরা স্বাধীনকে নিয়ে দোকানের পিছনে দাড়িয়ে থাক।গরম করছি এখন নমনীয় থলীর ভিতর নিয়ে ছোট ছিদ্র করে স্বাধীনের মুখে দিবো।হুম টেস্টার।ছোট ছিদ্র দিয়ে দুধ ফিনকি হয়ে বাহির হয়ে স্বাধীননের মুখে পড়ছে দেখে ইশ্বর হাসে।আরে এই আবার কিসের আলো পুলিশ মনে হয়। টেস্টার তোরে ধরতে আসতেছে পুলিশ যা পালা।ট্রাফিক যা যা তুই।ট্রেস্টার আমি গেলাম তুই যা ভাগ।রেল রাস্তা পার হয়ে মুন্সী বাড়ী পুকুরের পাশের জঙ্গলে স্বাধীনকে নিয়ে চলে আসি।পাথরের সাথে ধাক্কায় হয়তো দুই জন পরপারে যেতাম যদি বিশ্ব প্রণেতা সাথে না থাকতো,গাড়ী ধাঁ করে দাড়িয়ে যাওয়া,স্বাধীন চিটকে রাস্তায় না পড়ে আমার বুকে পড়া সবই তোমার দোষীর প্রতি দয়া স্রষ্টা।পুলিশ দোকান গুলো তছনছ করে চলে যায়।কিন্তু পরি টেস্টার ?(চলবে) (১০ম পর্ব)----------------ধন্যবাদ মা--------------আরে শেঠ ঘুম যেতে দিবে না।হাঃ হাঃ উঠে বস এই সস্নেহ খবরটা আমি পেলাম না কেনরে।কি খবর খুলে বলো শেঠ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।ওই বাচ্চা কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস।লও যেন তুই নভ হতে নিরয় আসলি,তোমরা যে বাচ্চা চুরি করেছো তার কথা বলছি।কি যে বলো না,কার বাচ্চা,কে চুরি করছে আমি তোমার কথার কিছুই বুঝতেছি না শেঠ।বুঝবে বুঝবে যখন পুলিশ এসে লাথ মারবে তখন বাবা বাবা বলে সব বলবে।আরে শেঠ তোমার এক পা নাই আর তুমি বলো লাখির কথা হাঃ হাঃ হাঃ।এমনি টেস্টারের জন্য কুত্তার মত মার খেয়ে আহত এখন তুমিই বলো আমি কি বাচ্চা চুরি করবো।আমি জুতা পালিশ করে খাই তুমিতো জানো আমি কি করে বাচ্চা চুরি করবো শেঠ।পার্ক হতে এক বাচ্চা গায়েব,তাও অনেক বড় বনিকের বাচ্চা,গৃহ পরিচালিকা বাচ্চার গাড়ী তে রেখে ঘুরাঘুরি অবস্হায় আমাদের কেউ কাজ করে দেয।শলু তুই খোজ নেয় কে এই কাজ করছে।পার্টি বড়,মোটা বাচ্চা ফিরিয়ে দিলে বড় অংকের মাল পাওয়া যাবে।তোমার কথা একটা কথাও আমার মাথায় ডুকছে না,এখন আমার ঘুম পাচ্ছে তুমি যাও এখন শেঠ সকালে কথা বলবো।যা ঘুম যা শালা কামের কথার সময়ও ঘুম যায় এই জন্য তোদের অদৃষ্টের পরিবর্তন হয় না।এই দিকে আয়,কত মাস চলতেছে।পুরা নয় মাস।নয় মাসে এই প্রথম দেখছি আর আসা হয়নি।কার বিবি।আমার।চলেন না ব্যাথা আর সহ্য হচ্ছে না।আমার দেওয়া অনুমতি পত্র আছে।না ।তাহলে হাসপাতালের ভিতরে কিভাবে আসলি।এর পেটে কার বাচ্চা,তোর নাকি অন্য কা..রো।আমার বাচ্চা।বিয়ে হয়েছে কবে।এক বছর হল।নয় মাসে এই প্রথম চেক-আপ করতে আসলি এর মধ্যে আর চেক-আপারের দরকার হয় না।আজ একটু বেশী সমস্যা বলে আসা আগে দরকার হয়নি তাই আসি নাই,তাহাছাড়া টাকা পয়সার অভাব।হাসপাতাল আসলে সবাই এমন বলে দেয় আমাকে কিছু দেয়।আ..মা..র কাছে।কি হয়েছে এখানে দারোয়ান সাহেব কেন লোকজনকে হয়রানি করছো।না স্যার আমিতো নাম জিজ্ঞাস করতেছি।যদি আমি জানতে পারি কোন রোগীকে তুমি নাজাহেল করছো কিংবা চিট করে দ্বিতীয়বার টাকা নিয়েছো তাহলে আর তোমার চাকুরি থাকবে না।জ্বী স্যার জ্বী স্যার।শহীদ,এই রোগীকে ভিতরে নিয়ে আসো।জ্বী স্যার।জলদি করো জলদি।এই শহীদ খেয়াল রাখ খরচপাতি।ছেড়ে দেয়,যা নিজের কাজ কর ওই দেখ তোর শিকার আসছে যা তাকে কাট শালা বাচ্চা লোক থেকেও পয়সা খায়।আল্লাহ তোকে ক্ষমা করবে না।যা যা তোর নীতি।কিরে টেস্টার।কাকা এদিকে আসো আমার পিছে পুলিশ পড়ে আছে আমি আশ্রয় কেন্দ্র হতে পালিয়ে আসছি।তাহলে এখানে কেন আসলি যা যা,(এদিক সেদিক দেখে) এই কোথায় তুই,এটা কি।কাকা স্বাধীনকে কিছুদিন রাখো পরে এসে আমি নিয়ে যাব।কোথায় ফেলি এই বাচ্চা।পৌরসভার ডাস্টবিনে।যা রেখে আয়।না কাকা আমি এর দায়িত্ব নিয়েছি দুই-একদিন রাখো কাকা (থেকে থেকে স্বাধীন ম্যা করে কেঁদে উঠে)।শালার পো দায়িত্ব নিয়েছি ইস,তুইও ছিলে আমার কাছে আর তোর মত বড় হয়ে দুইদিন পর পর এসে জিজ্ঞাস করবে কাকা কেউ কি এসেছে আমার খোজ নিতে (রাগ করে) না আসে নাই।এই সপ্তাহ আসে নাই আগামী সপ্তাহ দেখি, ফেনসিডেল এনেছিস না কাকা পয়সা নাই।যা এখান হতে,কোন বড় মানুষের রক্ষিতার ফল আমার ধারে যা চলে যা।(চলবে)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।

Shoyeb
২০-০৩-২০১৭ ০৫:৪৪ মিঃ

পর্বগুলো স্পেইস দিয়ে আলাদা করে দেখালে ভালো হতো। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত।

almamun1996
১৯-০৩-২০১৭ ২১:৪৬ মিঃ

অনেক লম্বা।।।তবু সুন্দর করে প্রকাশ পেলো ।

সুন্দর ভাবনা