চিত্রভানু তটরেখা আঁকে
- শাহানারা সুলতানা তানিয়া ২৬-০৪-২০২৪

এবং যুদ্ধযাত্রায়
শবেরা মিছিল করে ।
পৃথিবীর দীর্ঘতম কবিতা, অন্ধকারে পথ দেখায় তাদের ।
দুবেলা জ্বলে লেনিন, চে গুয়েভারা,
আর তিন রাত্রি চর্চা হয় মেন্ডেলার জীবনবেদ ।
নার্সিসাস, কি ভুলই না করেছিলেন
আমৃত্যু কেউ নিজেতে মগ্ন থাকে! জানা ছিলোনা
এখানেও শ্মশানচারী পুরোহিতেরা মন্ত্রে ডুবে থাকে
আগুনের শিখায়, তাদের ভয় হয়না ।
ধর্তব্য যে সকল তত্ত্ব আদিমতা পরিহার্য
তার অধিকাংশই প্রবক্তাগণের স্বদখলে ।
তুলসী,
তার বিসর্জনে সন্তুষ্টি চায়,
যদি তাতে ঈশ্বরের বর মিলে!
যুদ্ধটা আয়ত্তে আসবে, জয়ের পথে ।
ঊর্মিমালা,
ডমরুর ন্যায় বাজায়ে চলে নিজস্বতা ।
এখানে ওখানে তবু মিলেনা
কোন থানে ভাঁজ খুলে রত্নাকরে পাবে
বিভেদের প্রাচীনতম অলংকার ।
ফানুস উড়ে
সাদা, আর বিভৎস তার আকার ।
অথচ,
প্রসূতিগৃহে কার গভীর শোক
প্রজাকুলের চিন্তারেখা কপালে ।
এই নদীর তীরে, চিত্রভানু তটরেখা আঁকে
রংধনু গোধুলিতে আসেনি আর
সে অস্তাচলে রচে নিজ কারাগার ।
শেওলা ধরা প্রাচীরে শূন্যতার সন্ন্যাসাশ্রম
বাধা দিলে শ্লোগান ব্যর্থ হবে
তাই চলতে দিই ।
নিদাঘের এক মহামারী ছিলো
চরাঞ্চলে ।
আর মিছিলটা ক্রমশ শহর ত্যাগ করে
এক গোধূলি লগনে
নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে পৌঁছায় এসে ।
ইতিহাস বলে যায় তার পরের কাহিনী
প্রতিটি নাবিকের মুখে মুখে
সেই এক মিছিলের গল্প, যা কখনো পুরনো হয়নি ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।