বোকা সাধু-চোর
- সুদীপ্ত সরকার ২৩-০৪-২০২৪

একদা এক পাড়াগাঁয়ে ৷
এল চোর সাধু হয়ে ৷
ডেকে বলে সবাইকে ৷
ধ্বংস করবো গাঁটাকে ৷
উপায় একটা বলে দিলাম ৷
ধন সমেত করলে প্রণাম ৷
মুক্তি পাবে বটে বটে ৷
নইলে মৃত্যু পারে হতে ৷
একে একে ভয়ে ভয়ে ৷
দিল সবে প্রাণ বাঁচায়ে ৷
ঘন্টাখানেক পরে এল ৷
ঠাকুরবাড়ির ছেলেগুলো ৷
এসেই প্রণাম রূপে সটান ৷
আশীর্বাদ চাইল হবে মহান ৷
বলল সাধু চুরি কর-গে ৷
শান্তিও পাবি মহানের সঙ্গে ৷
চোরের বুদ্ধি উঠল ফুটে ৷
বুঝে কুনাল গেলো ছুটে ৷
আনল একটি বাঁশের লাঠি ৷
সবার সামনে চাইল কাঠি ৷
কাঠি,লাঠি দিল তারে ৷
বলল সাধু বলো আমারে ৷
এটা হল সত্য লাঠি ৷
আর তার ছেলে কাঠি ৷
বলো কি করবো চুরি ?
চিঁড়ে ভাজা নাকি মুড়ি ?
ছেলের অমন চুরির বুদ্ধিতে ৷
সাধু নিজেকে ভাবল কু-তে ৷
বাধ্য হয়ে ধরল সাধু ৷
লাঠি,কাঠি নিয়ে বুদ্ধু ৷
বোকা সাধু সত্যি ভাবল ৷
তাইতো চোরের পরিচয় দিল ৷
ছেলে তখন বলল তাঁকে ৷
দেখো মহান বলে কাকে ৷
মানুষ হল অভ্যাসের দাস ৷
আর ভালমন্দ পরিচয়ের চাষ ৷
চোরের পরিচয় ছড়াল গ্রামে ৷
বন্ধ হল উত্তম-মধ্যমে ৷
বোকা চোর সাধুর বেশে ৷
করেছিল ভুল গ্রামে এসে ৷
চোরের লুন্ঠন হল শুরু ৷
ছেলে কুনাল ছিল গুরু ৷
নির্ভয়ে কুনাল বলল সেথায় ৷
কর্মই আসল ফলটি মেলায় ৷
শিক্ষা হল বোকা সাধুর ৷
ছাড়ল চুরি শিখে বহুদূর ৷
গ্রামের লোকেরা ধন গুছিয়ে ৷
যে যার মতো রাখল লুকিয়ে ৷
ছেলে কুনাল বুদ্ধির জোরে ৷
ভাঙল হাড়ি বিনা হাতুড়ে ৷
ঠাকুরবাড়ির ছেলে সে ৷
ভয় করে না অন্যায়কে ৷
অবশেষে ফিরল ঘরে ৷
পাড়াপড়শী গর্ব করে ৷
কুনাল বাঁচাল গাঁয়ের মান ৷
তাইতো কুনাল হল মহান ৷

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।