অলীক কল্পনা
- প্রবীর রায় ২০-০৪-২০২৪

সাঁঝের বেলায় মাঠে বসে
আকাশ পাণে দেখি চেয়ে,
রবি পাহাড়ে পাটে বসে
রাতের আকাশ আধার কষে।
অলীক সব কল্পনা ভাসে,
তারা কেনযে মাটিতে খসে।
মেঘের ডাকে গুরুগুরু সুর,
পালায় ছুটি আমি বহু দূর,
ক্ষিতিতে বরিষণ ঝরে, ঝরো-ঝরো,
পাখিরা সব কাঁপে থরো-থরো,
আউশের ক্ষেত জলে ভরো-ভরো,
বৃষ্টিতে শীল, ছোটরা করে জড়ো -সরো।
হাওয়াতে দুলছে গাছেরি পাতা,
আঙিনা মাঝে চলছে কথা।
হারাতে যে চায় এজগৎ মায়ায়,
কবে,কেমনে জননী বসুধায়।
অলীক শত ভাবনায় মগ্ন,ভাবি
শশী কেমনে হয়েছে ভগ্ন,
আসমান কেন ভেঙে পড়েনা
মাটিতে সৃষ্টি,মানুষ গড়েনা।
দেবতা বক্ষে সবকি গড়া,
রোদ,বৃষ্টি-বর্ষা খরা,
পুষ্প বিনা কেমনে বীজ হয়
বীজ ছারা যে তরু,
আলেয়া বিনা আঁধার কেন হয়
জল ছারা যে মরু।
ধরার মাঝে কেমনে এল
অজস্র ধুলা -মাটি,
এই অবনির সবি হলো
সোনার-পাথর-বাটি।
অকস্মাৎ চমকে,ভাঙিল ঘুম
রঙিন আশা,মাতালো ধুম,
দুর'কাশে চাঁদের হাসি
মধুর কেন কানায়ের বাসি।
ভাবনা ভাঙিয়া হোলো চুরমার
নিদ্রাজেগে বসি নিজ দুয়ার,
গাথি রাখিলাম আপন চিত্তে
সর্ব প্রতিচ্ছবি
বাদল দিনের রঙ মাখানো
বৃষ্টি ভেজা ছবি।
নিশুতি রাত্রে প্রতিক্ষায় থাকি
দিতে চায়নে অবনিরে ফাঁকি,
শেষ রাতের শেষ সময়ে,
হবো আমি নিরুদ্দেশ
এসবি যে অলিক কল্পনা
আশার তো হয়না শেষ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।