চিত্রল দিঘী জলে অসীম বিষাদের ছায়া
- তানজির উদ্দিন - বসন্তে বাবাই, বাজে ভৈরবী ২০-০৪-২০২৪

অতঃপর দেখতে দেখতে চলে গেলে দূরান্তের ঐতিহ্য
পড়ন্ত বৈকালের অসীম পবিত্রতা এবং প্রেম নির্বার
পরিশেষে -
সান্ধ্য প্রদীপ জ্বালো, এই সন্ধ্যা লগ্নে
কতবার জেনেছি পুজোর ডালা সাজিয়ে
নিঝুম রাতের পরবাসে যারা আসে হঠাত্
ডাকাডাকি হাঁক ডাক ছেড়ে অনিঃশেষ
চন্দ্র আলোয় পরিচিতদের মেলে ধরা
জোছনার চাদর হারিয়ে গিয়েছে সেই
মগ্ন রৌদ্দুর পরশে, আর পর পর আসে
বিমোহন বিলুপ্ত অঙ্গীকারনামায় সে কারা
অঝোর ধারা ঝরে যায় দিবা রাত্রি অশেষ
নিস্তব্দতা শেষে শুধু ঝরে যাওয়া
ঝরে ঝরে হারিয়ে যাওয়া, দূরান্তের ইতিহাস
সাক্ষ্যাত্ মৃত্যু অধিকার কেমন হয় এই রাতে
শীত শীত জীর্ণতা মেনে পূর্বান্তের কুয়াশা ঢাকা
মেদুর বিহীন পশ্চিমাকাশে রাতের পূর্বাভাস
জেনে গিয়েছি আমি শৈশবকালেই কিন্তু
শেষের স্তবকটা অতিশয় বাহুল্য ছিল ।
পাশা পাশি নেমে এসেছে অভিনয়ের আক্ষেপ
জন্ম হতে মৃত্যু আকাক্ষায় বড় হতে থাকি
আর মৃত্যু-প্রান্তেএসে নিরবিচ্ছিন্ন সুর
থেমে গেল চিত্রল দিঘীর জলের ধারার মত ,
ঠিক যেন অপরান্তে বিভেদের অসীম আবেগে
জড়িয়ে রাখা জলের দেশে জলের কাব্যে মৃত্যু ভীষণ ;
এখনকার চিত্রল দিঘীর জলে বিষাদের ধারা
পরম্পরাহীন ধারাবাহিক ঐতিহ্যগত ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।