শিকারীর কাহিনী
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২৫-০৪-২০২৪

বড়খাঁপুর টুনি পুকুর, মহেশপুরে থানা,
বুনো শুয়োর চরতো সেথা সবার ছিলো জানা।
বেতবাগানের মধ্যখানে শুয়োর ঘুমায় দিনে,
রাত্রে গাছে গা ঘষিতো, রাখতো সবে চিনে।

খবর পেয়ে আসলো ধেয়ে পুড়োপাড়ার বুনো,
আসলো চলে সদলবলে, তাগড়া এবং চুনো।
আসলো প্রাতে সবার হাতে শড়কী এবং ফলা,
ফলার মাথা সূচলো অতি, ধারালো তেকালা।

সবাই রেডি চতুর্দিকে, রইলো সজাগ চোখে,
এক সাহসী বীর শিকারী, বেতবাগানে ঢোকে।
শড়কী মেরে ছেদন করে, বরাহটির রান,
শুয়োর জোরে চিকর মারে, রয়না ধড়ে জান।

ফলাশুদ্ধ ছুটলো শুয়োর প্রান্তর ও কান্তার,
দাঁত বসালো সবার গায়ে, সামনে পেলো যার।
চারটি গাঁয়ের অনেক মানুষ হইলো যে জখম,
পাতকুয়োতে পড়লো শুয়োর, হইলো সে খতম।

আমরা তখন ছিলাম শিশু যেতাম না আর মাঠে,
ভয় পেয়ে সব মা-বোনেরা যায় না জলের ঘাটে।
সবাই জুটে আসলো ছুটে, পাইলো না তার মোটে,
পাইলো সেদিন, গন্ধ যে দিন, চতুর্দিকে ছোটে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।