মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২৫-০৪-২০২৪

পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাংলাকে খেতো চুষে,
বাঙালি জাতিকে করেনি গন্য, দালাল রাখিতো পুষে।
সোনালী এ আঁশ করিতো যে চাষ পূর্ব পাকিস্তানে,
উৎপাদিত পাট নিয়ে যেতো তারা পশ্চিম পাকিস্তানে।

করদ রাজ্য করিলো ধার্য বাংলার বুক জুড়ে,
প্রতিবাদী হলে মারিতো খানেরা বাঙালিকে গুলি ছুঁড়ে।
ভেবেছিলো তারা রাখিবে না চারা বাংলা ভাষার চিহ্ন,
আর কোন ভাষা করিও না আশা উর্দু ভাষা ভিন্ন।

কার্ফিউ ভেঙে ছাত্ররা নেমে এসেছিলো রাজ পথে,
শহীদ হলেন সালাম বরকত রক্ত ঝরালো পথে।
কথায় কথায় গুলি চালাইতো, বাঙালি জাতির বক্ষে,
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদি, বাঙালি পেলো না রক্ষে।

কমিশন র‌্যাঙ্কে স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরী পেলো না বাঙালি,
অবশেষে হায় কি হবে উপায়, রক্তে রাঙালো বাঙালি!
তার আগে কতো দুস্হের মতো মুজিব হয়েছেন বন্দী,
আগর তলার মামলাটি ছিলো ষড়যন্ত্রের ফন্দী।

গণ আন্দোলন ঊনসত্তুরে, সত্তুরে হইলো নির্বাচন,
হলো সব ঠাঁই মুজিবের জয়, হলো যোগ্যতা অর্জন।
সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোট পান মুজিব, খানেরা ছাড়েনি ক্ষমতা,
লঙ্ঘিত হলো জাতীয় ঐক্য, গর্জিত হলো সমতা।

এই ভাবে হায় দিন চলে যায়, ৭ই মার্চে এসে,
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিলেন, শেখ মুজিবুর শেষে।
বাঙালি নিধন যজ্ঞ চালালো, পাক হানাদার বাহিনী,
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো, এই হলো খোদ কাহিনী।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।