রানা প্লাজার দুর্ঘটনা
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২০-০৪-২০২৪
মাসুদ রানার আটতলা গার্মেন্টস, রানা প্লাজা তার নাম,
সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক খাটে, খুব ছিলো আনজাম।
সকল শ্রমিক ব্যস্ত ছিলো স্ব-স্ব কাজে এসে,
২০১৩, ২৪ এপ্রিল পড়লো প্লাজা ধ্বসে।
বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদে হয় পরিবেশ ভারি,
কেউ আহত কেউ নিহত, হয় ঘটনা জারি।
দমকল এলো আর্মি এলো, করিতে উদ্ধার,
আটকে পড়া শ্রমিকরা সব করছে হাহাকার।
উদ্ধার-কর্মি উদ্ধার কাজ করছে অবিশ্রাম,
হ্যামার-হাতুড়-গাইতি-শাবল চালিয়ে অবিরাম।
অধর চন্দ্র হাই স্কুল মাঠে, রাখছে এনে লাশ,
আহতরা হাসপাতালে, বাড়ছে ক্রমে ত্রাস।
দেড় বছরের রবিন কাঁন্দে দুধ খাওয়াবো তারে,
আটকে পড়া শাহিনা কয় বাঁচাও ভায়া মোরে।
পিতৃহারা রবিন যে তার বুকের মানিক ধন,
তার না দেখে মরতে তাহার চাইছে না যে মন।
কর্মীরা কয় নেই কোন ভয় আনবো তুলে তোরে,
এইটা বলে চেষ্টা চলে পাঁচটি দিবস ধরে।
হঠাৎ গুহায় ধরলো আগুন, পুড়লো কপাল কার?
দগ্ধ হলো কায়কোবাদ আর শাহিনা আক্তার।
১৭ দিন পরে করে রেশমাকে উদ্ধার,
ভাগ্যবলে সুস্থ হলে চাকরী মেলে তার।
এই সুযোগে মাসুদ রানা পালিয়ে গেল দূরে,
বেনাপোলের বর্ডার থেকে আনলো এ্যারেস্ট করে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।