বর্ষাকালের চিত্র
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২০-০৪-২০২৪

গ্রীষ্ম গেলো বর্ষা এলো, বৃষ্টি নামে ঐ,
মাঠে-ঘাটে গাঁয়ের বাটে, রাখাল ছেলে কৈ?
কাস্তে হাতে আস্তে হাঁটে, চলছে চাষী পথ,
বিধি যে বাম জুটছে না কাম, ভগ্ন মনোরথ।
মাথাল মাথায় ফিরছে বৃথাই, সিক্ত দেহ নিয়ে,
লাঙল কাঁধে নির্বিবাদে, উঠছে দাওয়ায় গিয়ে।
গিন্নি তখন রয় অনুক্ষণ, ডুবিয়ে দিয়ে মন,
নকশী কাঁথায় নকশী আঁকায়, ব্যস্ত সারাক্ষণ।

কাজের টানে অফিস পানে শ্রমজীবিরা ছোটে,
হাঁটছে বেদম জোরছে কদম, ভিজেও গেছে বটে।
বৃদ্ধ-বালক রিকসা চালক, ভিজছে সারাদিন,
খাটনী খাটে সময় কাটে, কাটছে না দুর্দিন।
গুড়ু-গুড়ু ডাকছে দেয়া, ফুটছে কদম কেয়া,
বর্ষাকালে ভিজছে জলে, দোয়েল-শ্যামা-টিয়া।
ঝড়-বাদলে নেটোর খালে, মারছে সবে মাছ,
নদ-নদীতে বান ডেকেছে, যাচ্ছে ভেসে গাছ।

ছেলে বেলায় ডোবা নালায় বাইছি কলার ভেলা,
বর্ষাকালে খালে-বিলে নাইছি সারা বেলা।
ব্যাঙপুকুরে করুণ সুরে গাচ্ছে ব্যাঙের পাল,
“আঁম-দুঁধ-কঁলা খাঁবো” ফুলিয়ে দুটি গাল।
ভরা গাঙে দু’কূল ভাঙে নাও বেয়ে যায় মাঝি,
নৌকা করে যায় নায়রে , নতুন বধূ আজি।
“বউ কথা কও” ডাকছে পাখি, কয়না কথা বউ,
কদম-কেয়ার গন্ধে যে তার, চৌদিকে মৌ-মৌ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।