বর্ষণ মুখর সন্ধ্যা
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ১৯-০৪-২০২৪

বায়ু বহে বেগে ঘনকাল মেঘে, চরাচর হলো ঝাপসা,
ঐ কালো জল উথাল পাথাল ভীম রূপী বহে রূপসা।
এপারে ওপারে নেই কোন পার, মানুষের সাড়া শব্দ,
অবারিত মাঠ সরু পথ-ঘাট, একেবারে নিস্তব্দ।

ঐ দূর বনে বায়ু শনশনে, বহে হু-হু করে দুর্দম,
বর্ষার জলে আরো কাদাজলে, হয়ে আছে পথ দুর্গম।
মানুষের আজ নেই কোন কাজ, ঘর কোণে আছে বন্দী,
কাজ করে যারা অস্থির তারা, বের করে নানা ফন্দী।

মহিলারা আজ করে কত কাজ, বসিয়া ঘরের কোণে,
বানাইছে মিঠে কাঁচিপোড়া পিঠে, খাওয়াতে আপন জনে।
খেজুরের গুড় মাখিয়ে নিগুঢ়, আরামে বসিয়া খায়,
বেটাছেলে আজ পায়নাতো কাজ, জাল বুনিতেছে তাই।

ঐ বেনুবন দোলে ঘনঘন, বাতাসে উড়িছে পাতা,
আসে পথচারি ভিজিয়াছে ভারি, মাথায় যদিও ছাতা।
চলিছে পথিক হয়ে নির্ভিক, কিন্তু বেলা যে নাই,
লোকালয়ে এসে অতিথির বেশে, চাহে রাত্রির ঠাঁই।

চাঁদনী রাতে বৃষ্টিপাতে, সিক্ত কদম ফুল,
নিশীথিনী হায় বিনোদিনী প্রায় কাদম্বিনীর তুল।
বর্ষার জল করে টলমল, জলময় সরোবরে,
তটিনীর জল হয়ে উচ্ছল, গিয়ে পড়ে পারাবারে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।