পৃথিবীর বিশ্রী সব কবিতা
- শামীম এএ কবীর - পৃথিবীর বিশ্রী সব কবিতা ২৯-০৩-২০২৪

---------------- - ৩০/০৫/২০১৫

নৈশব্দের মাঝে সমবেত কন্ঠে শোনা, এই শব্দ কান্নার মতো
এই শব্দ,সাগরে ভেসে চলা ঠিকানা বিহীন অভিবাসী ছাড়া আর কি হতে পারে?
হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে, জীবনের সমবেত রূপ,
অর্ধমগ্ন ভেলায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে দুলে ওঠা মৃত্যুর ছন্দ
হাতের মুঠোয় কি জীবন থাকে?
এই শব্দ, উপকুলে পৌছানোর অব্যাহত প্রচেষ্টা, তার পরো প্রতিবার ব্যর্থ,
বিধ্বংসী ঢেউয়ের আঘাতে।

সমূদ্রময় সমস্বরে ডেকে চলে, অন্ধকার সাগরে নিক্ষিপ্ত ভবঘুরে
জনসমুদ্র জলমগ্ন মানুষে,
এই শব্দ জীবনের কান্না, মুঠো থেকে এই বুঝি বের হবে!
উপকুলে দাঁড়িয়ে থাকা লাইট হাউজ যেনো শেষ আশ্রয়
স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ বা ঋষির মুখে অমৃত নয়, অন্ধকার রাতে তারার আলোয়
পার্থিব ক্রিড়া বা কৌতুকে বয়ে চলা সময়
এই শব্দ অনবরত মানুষের চিৎকার, কোকড়ানো ভয়ে
প্রকান্ড সব প্রাগৈতিহাসিক।
শামুকের খোলসের ভেতর লুকিয়ে থাকা, দোদূল্য জীবন
এই বুঝি ভেঙ্গে যাবে।

এই শব্দ অকাশথেকে নেমে আসা কোনো দৈব বাণী নয়, সাত সকালে
পলল ভূমিতে বড়জোর পাখীদের কুঞ্জণ
ভালো লাগলেও নৈমিত্তিক ঘটনা ছাড়া আর কি
দুলে ওঠা ঝিঙ্গেলতায় প্রজাপতি, তা ও বিড়ম্বনা বাড়ায়
কেবল হাটতে শেখা শিশুদের অথবা নিস্কলুষ আনন্দ, চাঁদ আর তারার মতো
ইচ্ছে হলেও স্পর্শ করা যায়না,
শুধুই চেয়ে থাকা কৌতুহলে।

নির্জন উপকুলে নারকেল পাতায় কেঁপে ওঠা এই শব্দ
বাতাস লাগায় পাখীর ডানায়,
এই শব্দ নৈশব্দের মতো
প্রতিনিয়ত শোরতুলে নদী, সাগর জয় করতে যায়, ফেরে না আর
অলস যুবকের গুপ্ত ধন খোজার মতো নিস্ফল বসে থাকি।
থেমে থেমে কলমের ক্রন্দন শুনে এক সময় বিরক্তি লাগে
বার বার শোনা প্রিয় কোনো গানের মতো
পুরোনো হয়ে যাওয়া প্রিয় রং যতোবার ডাকে, কাছে যাই
দেখে দেখে ফিরে আসি, বলি নতুনত্ব কিছু নাই
ভয় পাই, ভেতরের ভঙ্গুরতায়।

এই শব্দ জীবনের যন্ত্রণার মতো
প্রতিদিন ১পাতা সাদা কাগজ দেখিয়ে বলে
এটা মহা সমূদ্র
চোখের পানিতে ধুয়ে মুছে, লেখো এখানে, পৃথিবীর বিখ্যাত সব কবিতা
লুকিয়ে লুকিয়ে লিখি ব্যাকরণহীন কাঁচা হাতে
লিখে লিখে ছুড়ে ফেলি,
ভুল বানানে বোঝাই হয়ে থাকে পেপারবিন
পৃথিবীর বিশ্রী সব কবিতায়।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।