পাখপাখালির অন্তরা
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২৯-০৩-২০২৪

গাছে গাছে ফিঙে নাচে, কোকিল ধরে গান,
গানে গানে মধুর তানে, জুড়িয়ে গেলো প্রাণ।
দোয়েলের শিষ খোদার আশীষ, বাংলাদেশে ভাই,
তাকেই ডাকি জাতীয় পাখি, অন্য কারো নাই।
ডাহুক ডাকে পাতার ফাঁকে, বিল বাওড়ের ধারে,
ভিলভিলে ঐ ডুব দিলো কৈ, পাইনে খুঁজে তারে?
মাছরাঙারা দেয় পাহারা শূন্যের ওপর উঠে,
সুযোগ বুঝে চক্ষু বুজে মৎস্য ধরে ঠোঁটে।

চাতক পাখি শূন্যে থাকি, মেঘের বারি খায়,
বর্ষাধারায় গাল পেতে খায়, প্রাণ জুড়ায়ে য়ায়।
‘বউ কথা কও’ ‘চোখ গেলো বউ’ শুনছে সকল লোক,
হলদে পাখি খুলছে আঁখি বলছে ‘খোকা হোক’।
গল্প শুনি, টোনা টুনি, রান্ধে বাড়ে খায়,
বিড়াল ছানা মারলে হানা শূন্যে উড়ে যায়।
বকের ছানা নয়কো কানা, বলতো লোকে কানা,
কোন্ ঠিকানায় মাছ পাওয়া যায়, সব থাকে তার জানা।

কাক শালিকে খামার থেকে ধান খেয়ে যায় উড়ে,
ময়না টিয়ে বউ সাজিয়া গয়না পরে ঘুরে।
ঘুঘু পাখির সিক্ত আঁখির পুরান কথা ঢের,
ডুকরে কেঁদে কয় বিষাদে, “বাবা জটু ফের”।
পানকৌড়ি দিচ্ছে পাড়ি, কলমি লতার ফুল,
ডুবিয়ে চলে পানির তলে, ঠিকানা নির্ভুল।
চিল-শকুনে কপাল গুনে পর্বতে নেয় ঠাঁই,
পল্লী জুড়ে গো-ভাগাড়ে খাদ্য-খাবার নাই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।