তুমি ও সে
- সাদমান সাকিল ২৮-০৩-২০২৪

আজ শরতের প্রথমদিনে মেঘেরা সাদা শাড়ি পড়েছে,
এসেছে বেড়াতে আমার আকাশে,
মুখে ঘোমটা, শাড়িতে নীলাভ কারুকাজ সামান্য।
আমি দুপুরের রোদ হয়ে
অবাক দৃষ্টি মাখানো চোখে তাকিয়ে থাকি মেঘের পানে।

কাল রাতে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজে যায় আমার পৃথিবী।
আমি কোন এক লেখকের একখানা বই হাতে নিয়ে,
ধোঁয়া উঠা কফির কাপে চুমুকের পর চুমুক দিয়ে দিয়ে,
তোমার মায়াময় চোখদুটো কল্পনা করি আনমনে।

কিছুকাল আগে কালো চাদরে ঢাকা ছিল যে দেহখানি তোমার তা আজ উন্মুক্ত, নগ্ন, লজ্জাহীন!
রঙিন পাখিদের উড়াউড়িতে অজানা আনন্দে ভরে গেছে আকাশের বুক।
আমি খালি পায়ে এক এক পা করে পিচঢালাপথে,
আজন্ম পথিকের মতো হাঁটাহাটি করি অবিরাম।
বিক্ষিপ্ত মনের খেলাঘরে সফেদ মেঘ হয়ে তুমি ছায়া দিয়ে যাও,
আমি অক্সিজেনকণাগুলোকে সাদরে গ্রহণ করে,
খানিক স্বস্তির আবেশে আবেশিত হয়ে ফেলি স্বস্তির নি:শ্বাস।

ললনা, তুমি ওগো, আমার জীবনে থেকে যাও
ওগো, শরতের সফেদ মেঘ হয়ে অথবা-
কালো কুচকুচে ছায়াটির সাথে মিশে যাও আপন মনে।

আমি তোমায় কাক হতে বলছি না,
তুমি হও কাকের রূপময় চক্ষুযোগল।
তুমি কি জানতে কাকের চোখগুলো বেজায় সুন্দর! সত্যি জানতে তো?

ওগো মেঘবতী, আমি আমার পুরোনো চশমাখানি হাতে খুলে নিয়ে,
তোমার অদৃশ্য চোখে চোখ রেখে রেখে-
তোমার হৃদয়ের কাব্যগ্রন্থ আবৃতি করবো।
তুমি বালি হয়ে চিকচিক জ্বলে কেন কেড়ে নাও মম মন, মম চৈতন্য?
ললনা, ওগো তুমি কেন কেড়ে নাও আমার কবিত্ব?
কেন কেড়ে নাও অক্ষর-বর্ণ-শব্দ-বাক্যমালা?
কেন কেড়ে নাও আমার রাজকীয় মাল্যখানি?

আমি আশা করি মাঝে মাঝে কিঞ্চিৎ -
হয়ত-বা তুমি দুপুরবেলা সমীরের ডানায় ভর দিয়ে এসে জুড়িয়ে দিবে মম মন,
হয়ত-বা তুমি প্রেমকাব্য হয়ে আমাকে করে দিবে তন্ময়,
হয়ত-বা তুমি সিগারেটের ধোঁয়া হয়ে মিশে যাবে প্রকৃতির প্রতি পরতে পরতে,
হয়ত-বা তুমি সহসা এসে দাবানল হয়ে পুড়ে দিবে আমার বরফ-হৃদয়...

© সাদমান সাকিল, মাস্টারদা' সূর্যসেন
হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।