হলুদ পাখি
- সাইফ রুদাদ - আহ্বান ২৯-০৩-২০২৪

ওই গাঁয়ে ছিল তিনটে হলুদ পাখি
সই কয়ে ছিল ওঠোঁটে যা'হল মিষ্টি,
কোন মৃত্তিকায় গড়েছে তা ভবানী
সেই ভাবনায় যায়না গো দৃষ্টি।

মূর্তরূপ চেয়ে থাকে নয়ন
চিন্তাস্তুপ হয়ে হাঁকে এমন,
মহাদেব কয়ে দাও আমায়
কত হেম দিয়ে ছাঁও ওগাঁয়?

কত স্বেত হেম হলে
মেখলাবৃত কটিদেশ
শত দোল দিবো, বলে
দাওনা ওগো প্রভু মহেশ।

কত কড়ির আম্বর পরবে
কত ভরির অলঙ্কার চাবে
কও ঈশ্বর? বায়না ব্রহ্মা!
লও পূজোর প্রণামি শ্যামা।

ওই হুরের ছাতিতে সুরা
নাবি মনের বাতিতে হরা,
আর নিচের যোনিতে মধু
ভার বুকের ধ্বনিতে শুধু।

ললাট যেন চাঁদের মতন
ফুলাট যেন রূপের বদন,
কপোলে হলো অমিয় সুধা
স্বঃ বলে না'লো আমিয় বৃথা।

কেশের মত পাতায় লালচে আভা
সূর্যের যত আলোয় হয়েছে রাঙা,
ঠোঁটে রস ভালয় বয়েছে ঈশ্বর
বাটে বাস চায় যে মন করজোড়।

এই চিরযৌবনা রূপের
এই বিল ঝোপ, গাঁয়ের
বিষ ডেকে মৃত্যু দুয়ারে
দিও না'কো কবু,প্রভুরে।

বেঁচে থাক ওরা চিরকাল
কেটে যাক হরা মহাকাল,
রূপ,লাবণ্য, স্তুপ মাণিক্য
চুপ অরণ্য, খেত ফলন্ত
বয়ে যাক পরকাল অবধি
বঙ্গে হোক ঘর বোল শান্তি।

উৎসর্গ : বাংলার মাটি যেমন চিরযৌবনা ঠিক তেমন চিরযৌবনা যুবতি কন্যা কঙ্কণ সুমাইয়া সুমু এবং তারঁ দুই বান্ধবী স্বর্ণা ও মুক্তি কে।

০৬ জানুয়ারি'১৬
মনোহর, শরীয়তপুর

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

showrov
২৬-০৬-২০১৬ ০৯:৩৯ মিঃ

অনেক সুন্দর