সকালিকা
- আশরাফুল ইসলাম শিমুল - ইচ্ছেখুশী ২৪-০৪-২০২৪

"কলেজের করিডোরে আমার একজন প্রেমিকা ছিলো
নবজাতক প্রেম তখনো ভ্রুক্ষেপিত হয়নি পৃথিবীর কোলে,
তবুও আমি তাঁকে আমার প্রেমিকা'ই মনে করতাম।

জুতোর ফিতায় সহস্রাধিক নিঃস্বাস পুঁতে পুঁতে
তবুও বয়ে চলে যেত আমাদের কোয়া কোয়া সংলাপ আর কয়েকটা সাক্ষাৎকারে।

অবেলার অস্পষ্ট গোধূলিতে আমাদের প্রথম দেখা
বালুকাবেলায়,
সেদিন তার বয়স ছিলো শিশিরের মতো কমল,
পানকৌড়ির জল ছিটানো উর্বশী নদীর মতো,
দিগন্ত প্লাবিত নক্ষত্রের মতো,
তুষারপাতের সাঁতারে স্নিগ্ধ জোড়া শালিকের মতো।

তবুও সে ছিলো একটা বিশাল দানবের মতো পাহাড়,
একটা জীর্ণশীর্ণ কনক্রিটে গড়া চিরকুটের মতো ,
ভয়ঙ্কর ভয়ের মতো উদ্মাদ,
উড়ন্ত সময়ের মতো কয়েকটা বিষাদ নীলখামে লেখা শূন্যে পৃথিবীর মতো।

তবুও আমি তাঁকে আমার প্রেমিকা'ই মনে করতাম।

তবুও সে ছিলো নক্ষত্রের চেয়েও দুরে
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকেও আরো গভীর দুরত্বে,
যে দুরত্ব পৃথিবীর মানচিত্রে লিপিবদ্ধ নেই,
যে দুরত্ব শুধুই দুরত্ব,অসীম দুরত্ব।

আমাদের কখনোই প্রেম ছিলো না,
কিংবা সে আমার প্রেমিকা,
তবুও সে ছিলো মায়াজালে আবদ্ধ একটা মোহনীয় গোলাপ,
যাঁকে এখনো স্মৃতি কুঁড়ের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে পাই,
হঠাৎ কেবলি হঠাৎ,
আনমানে সুগন্ধি রুমালের প্রায়শ্চিত্ত্বে,
সমুদ্রের বেলাভূমে,ঘুমন্ত সারসে।

তবুও আমি তাঁকে আমার প্রেমিকা'ই মনে করতাম,
এখনো কিংবা সেদিনও,
যেদিন থেকে আর খুঁজে পাইনি, দেখা হয়নি।"

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।