বিসর্জন"
- আবদুল্লা আল ফয়সাল ২৯-০৩-২০২৪

গৌধুলী লগনে সুনীল গগনে বসিয়া মেঘনার তীরে,
অদুরে জলধারা প্রনয় নাড়ে কড়া মন মন্দিরে।
অপেক্ষার নদী বহে নিরবধি তোমারি পথ চাইয়া,
ক্ষনকাল পরে বসিলে গা ঘেষে সবুজ মাঠ বাইয়া।
ডাগর জোড়া চোখ, থরথর ঠোঁট দেখিয়া ব্যাকুল প্রাণ,
আজি প্রেমমালা পড়িব গলে, গাহিব বসন্তের গান।
এত সুখধারা মন পাগলপারা, সহিবে কি খাটো কপালে?
যদি আসে ঝড় করো আমায় পর, ডুবিয়া মরিব জলে।
সহসা সলিল ফুলিয়া উঠিল, মেঘে মেঘে আকাশ ভারী,
বুকের পাজরে লুকাইয়া তাহারে তুফান দিলাম পাড়ি।
কাহার বুখে মাথা রাখিয়া, আজি কাহার করিছো ঘর,
কাহারে তুমি মন দিয়াছো? কাহারে ভাবিছো পর।
কোমল হৃদয় কেমনে পাষাণ হয় জানিবার বড় স্বাদ,
দীল আজি ক্ষত-বিক্ষত, বিষাদময় দিন-রাত।
যাযাবর বেশে ঘুরিয়া দেশ-দেশে খুঁজি তোমারি মুখ,
পাহাড়-পর্বত,বন-বাদাড় বিচরনে মুছে যদি দুখ।
বনের পাখি ফিরে যাও নীড়ে কবিও ফিরিবে ঘরে,
নব প্রনয়ে জাগিয়া উঠিবে, বাঁচিবে সত্যের তরে।
নারীর মন বুঝার সাধ্য কাহার? বুঝেনা মজনু মন,
তোমারি সুখে সুখী হইয়া তোমারে দিলাম বিসর্জন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।