বালিকা ও রাজকুমার
- রশিদ হারুন ২৮-০৩-২০২৪

বালিকা আমি তোমার নাম জানিনা
তোমার নাম দিলাম আমি মনোলীনা,
সকাল থেকে দুপুর অথবা সন্ধ্যা রাত্রি
আমি তোমার জন্য ঠায় দাড়িয়ে থাকি
আামারই মতো নিঃসঙ্গ ল্যাম্পপোষ্টের গা ঘেষে।
শুধু একবার যদি তুমি তাকাও-
তোমার দোতালা বাড়ীর জানালা দিয়ে,
পরিচিত মানুষ দেখলে মানুষ যে ভাবে হাসে,
অথবা ভিখারীর দিকে মানুষ যে করুনায় তাকায়,
তোমার যে ভাবে খুশি, তবুও তাকাও।
সারাদিন ল্যাম্পপোষ্টের গা ঘেষে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে,
ল্যাম্পপোষ্টের শরীরের গন্ধটুকু আমার আপন হয়ে গেছে।
সারাদিন ল্যাম্পপোষ্টের সাথে মহল্লার অনেক গল্প করি,
২২/এ বাড়ীর নন্দীনি দিদিকে দেখা যাচ্ছেনা কয়েক দিন,
সবাই বলাবলি করছে দারোয়ানের সাথে পালিয়েছে ।
দত্ত বাড়ীর সুবাস দা এতো বছরের প্রেমকে কি অবলীলায় ঝেড়ে দিল,
সুখীদির বাবার পনের দাবী মেটানোর ক্ষমতা নেই বলে,
সুবাস দা কি কখনো আয়নার দিকে তাকাতে পারবে?
স্বপনদার মা কাউন্সিল অফিসে ছেলের নামে নালিস দিয়েছে,
উনি নাকি মার কোন খোরপোষ দেয়না ,
অথচ বিধবা মা কতো কষ্টে খেয়ে না খেয়ে ছেলেকে বড় করেছে,
আচ্ছা স্বপনদা কি আসলেই বড় হয়েছে ?
সারাদিন ল্যাম্পপোষ্টের সাথে গল্প করতে করতে,
আর গলপ খুজে পাই না ।
বালিকা, সারাদিন একই ভাবে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে,
আমার এক সময় মনে হয় আমি মানব বৃক্ষ হয়ে গেছি,
রোদ, বৃষ্টিতে ও আমাকে স্পর্স করে না,
যদি তুমি কোন একসময় এসে ছুয়ে দেও,
তাহলে হয়তো আবার মানুষ হতে পারবো।
বালিকা , তবুও তুমি আমার দিকে কখনো তাকালে না,
আমি স্বপ্নে আজকাল রাজকুমার হয়ে যাই.
রাজকুমার ডাকলে,
“বালিকা তোমার ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতা নেই”
------------------
জি , এম, হারুন অর রশিদ
২৬.১০.২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।