দৃষ্টি দর্শন
- আব্দুল আহাদ ২৪-০৪-২০২৪

দৃষ্টি দর্শন
সৃষ্টির বিবর্তন করিবে কর্তন,
কখন হাসনাহেনা গোলাপি আবর্তন।
কখনো আষাঢ়ে বৃষ্টি আশির্বাদ,
কখনো পূবালী বাতাসে কৃষাণির হাঁসি,
কখনো নদীর জলে জাতীয় দুলালী।
তাতে আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ। আহ! সর্বনাশ
ঈষানের ঝড়ো হাওয়া বর্জের ধাওয়া,
ফুপিতেছে বঙ্গো রাগে শত নদের ধাওয়া,
বরিতেছে ডোবা আসিতেছে জল ধেয়ে,
পিপিলিকা কুন্ডে কুন্ডে আসিতেছে ধেয়ে।
সর্বনাশী গ্রাসি সব করিয়া ত্রাস। বর্ষা সর্বনাশ।
কাহার ঘাম ঝরে উদরী ক্ষিদা কাস্ত কুদাল নাড়ি।
কাহার যৌবনরস বৈটা চাকা নিতেছে কাড়ি।
কেহ উদিতে রবি ঝাপিয়ে পড়িতে জলে স্থলে।
কেহ হতাশ নিরাশ ঘুরিতেছে ক্ষুদা জলত্রাসে কর্ম খুজি।
আহ! কত আশা নিরাশা কত আবর্তন বিবর্তন।
সেত ডাম্পল টাম্পল ঝরাই ওর সৌখ্য চর্বি,
সেত দ্বোহার কিরণ সূর্যরশী গলায় দোসর চর্বি।
কার রত্নাদি করে লুপাটে ঘুরিতেছে ধারে দাপটে,
যার কর্ম ক্লান্তি নেই মজুদ রত্নে ঘুরিতেছে দাপটে।
কাহার হাড়িতে জল জ্বলি, কাহার চর্বির মেদ হাড়িতে।
কাহার শাড়ি খসি দেহ থেকে, কাহার সুশ্রী শিল্পে বদন খালি।
কাহার নাকে বাসের কচি, কাহার আলমারিতে স্বর্ণভর্তি।
আহ! কত আশা নিরাশা কত আবর্তন বিবর্তন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।