“দস্তখত”
- আব্দুল আহাদ ১৯-০৪-২০২৪

“দস্তখত”
একদা ছিল এক ভুপাল
চুখে রং ছিল গোলাপ।
জানিত সকল মন্ত্র পাঠ
তাইত করিল সব লুপাঠ।
কলমের রং ছিল তার কাল
ত্রাস গ্রাস করিতে চুখই কাল।
দস্তখত নিতে তেত্রিশ দারার দল,
খরচা আছে কত কিছু দিবে কি না বল।
স্যার স্যার আমারা নিরামিষের দল,
নাহি কানা কড়ি মোরা হতদরিদ্রের দল,
দুবেলা ভাত জুটেনা মোরা কৃষাণির দল।।
আাষাড়ের অসার শুনতে চাই না কখন।
চুপ চুপ চুপ চুপ!
সব বেত্তমিজ শালার দল।
চিনছনা তরা আমি রাজ্য গর্ভনর!
দস্তখতের টাকা দিবে কি না বল,
নইলে ভুমি যাবে অন্তর মহল।।

আসিলেন কিরন পাল পুত্র কাঁধে করে,
ইর্মাজেনসি টিকেট কিনে ভর্তি মেডিকেলে।
কাহার গরু কে দিবে ধোয়া আসহায় বাপ বেটা!
সন্ধ্যা নিষিতে স্বর্ণ হরিন,
ডাক্তার বাবু তশরিফ রাখিলেন হেতায়।
এক সাদাচামড়া বেটি বলে বাবু... ....
কত প্রাইভেট মেডিকেল দেখনাই !
বড় স্যার ঐ খানেতে বসেন সর্বদাই।।
আরজু মিয়া স্ত্রী পাশে কাঁদে অশ্রুসিক্ত নয়নে ,
বাবু আসবে তাহার কুলে ডাক্তার যে নাই,
বাবু মশাই কাদিয়া কয় এত মানব গুরুস্তান,
মরব কি বাচঁব জানে কে আর বল।।

মফিজ মিয়া ঘর পুড়িল দুর্বিত্ত এক চোরাই বেছাড়া।
মুড়ল সাহেব ঐ দেখো আগুন জলে গৃহে,
দেখে কি করব, মাতাব্বর বাবু আছো দেখো!
মাতাব্বর সাহেব, দেখনা থানা আমি পারব না।
দারগা সাহেব ঘর পোড়েছে রমজান শালা
হ্যালো হ্যালো মাতাব্বর সাহেব ব্যাপার কি ?
যা শুনছেন তাই, দারগা বাবু হাহাহহাহা.......
এবার মামলা হবে চার্জসীট মামলা এফেয়ার্স
উকিলবাবু পাড়ি দিয়ে
হাকীম সাহেবের দরজায় পোছতে লাগবে কত কাল!!
........বাকিটা লেখবা না আর লম্বা ইতিহাস।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।