চোরের ইনসাফ
- আব্দুল আহাদ ২৯-০৩-২০২৪

চোরের ইনসাফ
কাহার করিব প্রনাম সবই এখন ভগমান ,
যেথায় আছে ভোজনালয় রাক্ষস সাধু ধ্যান বসে।
খাল বিল নদী নালা ভোজন করা খায়েশ ওদের,
ইঁদুর শিয়াল সব চাদা দিতে বাধ্য শিষ্য বড় ভাইয়ে মোরা।
নেতা-নেত্রী গজিয়েছে সকল চৌরাস্তা।
ঐ দেখ বস্ত্র পল্লীতে জলছে অগুন উড়ছে ধোয়া।
ঐ দেখ মরছে মানুষ পিষ্ট হয়ে মটরগাড়ি তলে।
ঐ দেখ মরছে ওরা ধোকে ধোকে মহাজনের ঘরে।
মহাজনের খয়রাতের টাকা ভাটিতেছে ওরা সকলে মিলে।
ওরা চোর নয় ভাটপার নয় জনগনের নির্বাচিত নেতা।
তাই তো তারা লুটিতেছে সকল শালার চাকা।
চোর চোর চোর গনদোলাই হবে এবার সর্বজনতা।
লাউ চোর কুমড়া চোর রাস্তধারের ফুচকা চোর।
পিট পিট সকলে মিলিয়া পিট চোরের গোষ্ঠীচোর।
আহ! সুবিচার করেছে ওরা দশ টাকার কমলা চোরের তারা।
চোর কেঁদে কেঁদে কহে,পেটের ক্ষিদা চুরি করে মহা পাপিষ্ঠ।
নির্বোধ অন্ধ পাষান্ডের দল দেখনা তোমরা !
চোরি করিয়া সাহেব বানিয়েছে মহা অট্টালিকা।
বড়লোকে যত আছে ইট হতভাগ্যের রক্তে তাতে মিশিয়া।
ঐ দালানে কত খাবার ভিনে পড়ে আছে,
কুড়ে ঘরে মরছে মানুষ ধোকে ধোকে।
ঐখানেরই খেলনায় আছে যত মোহর, দোলনায় মানিক চাদ।
এখানের কুড়েঘরে টিপ টিপিয়ে পানি, পড়ে ধোলায় শিশু নাচে।
ঐখানেতে শিশু নাচে কোমর দোলাইয়া,
এখানে শিশুর কাধে বুঝা সর্বদা।
বলিয়াছি সত্যতথ্য আশুক কাল ধোয়া ।
মানিয়া নিব আমি চুখ বন্ধ করিয়া
তবু দেখিতে চাই না এই বৈষম্যে ইনসাফ।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।