বিসংগত সাম্য নয় কাম্য
- কুমার সৌরভ ২০-০৪-২০২৪

হাওর শুকনো থাকতে অনেক উঁচু নীচু ছিল
কোথাও নিম্নভূমি কোথাও একটুখানি ঠেক
কোন কোন আইলের ভেতর ছিল সংকীর্ণ
কোনটার ভেতরটা হাঙরের বিশাল ব্যাদান
কারও মালিকানায় বিশ হাল তো কারও কম
এমন নানা বিসংগতায় হাওরগুলো শুকনায়
থাকে সামাজিক বৈষম্যের মাপকাঠি হয়ে।

সবুজ ধানের চারাগাছ বা সোনালী ধান ছড়া
মাড়াইর জন্য স্তূপ করে রাখা ধানেরই আঁটি
বা যন্ত্রে ছিটানো খড়
পথের পাশে মাঠের খলা উঠোনের আঙ্গিনায়
ছড়ানো সোনাদানারূপ নবীন ধানের সুবাস
প্রকৃতিতে অভিন্ন দ্যুতি ছড়ায় পুলকে
প্রকৃতির নিবিড় ঐকতান বৈশাখের আকাশে
ভাটির গ্রামে কালবোশেখি প্রবল ঝাপটা
এসে আবার বিচ্ছিন্ন করে মানবিক হৃদয়।

এবার বহু বছর পর বিসংগত হাওর
একই সমতলে এলো মানবিক বিপর্যয় সাথে করে
হাওর ডুবিয়ে জল ঢেকে দিল বৈষম্য সব
তালুকদার বা জলদাস সকলের হাহাকার আজ
সমান হয়ে গেছে ভাটির হাওরের পাড়ে
আজ খাদ্যের অন্বেষণে দীন ভিখারী ও মহালদার বাবু
এক লাইনে দাঁড়িয়ে ওপেন মার্কেট সেলের দোকানে
একে ওপরের তালেবরি করেন বৃষ্টিতে ভিজে
রোদের ছায়ায়...

সাম্য আরাধ্য বটে পৃথিবীর
তবে এমন প্রকৃতির রোষে
গড়া বিপর্যয়ের সাম্য নয়
এমন সাম্য গড়ে যে প্রকৃতি
তালের সংগত মিলায় যে মানুষ
তাদের বশ করে মানবিক প্রয়াসের
সাম্য যদি আসে ভাটির দেশে উজানের দেশে
পাহাড় মরু বরফের লোকালয়ে
তাকে স্বাগত জানতে প্রস্তুত
পৃথিবীর হৃদয়।
২৬.০৪.২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।