ব্যাঙপাখি
- কাফাশ মুনহামাননা - সঙবিতা ২৯-০৩-২০২৪

- ব্যাঙপাখি! তোকে খুব কিউট লাগছে আজ।
- ব্যাঙপাখি? সেটা আবার কি?
- একধরনের প্রাণী। যার ওপরের অংশ পাখির মতো আর নিচের অংশ ব্যাঙের মতো।
- জীবনেও এর নাম শুনি নি। আজ প্রথম শুনলাম।
- জীবনে অনেক কিছুই প্রথম হয়। এটা নিয়ে আবেগী হওয়ার কিছু নেই।
- আবেগী হলো কে? আর তুই আমাকে ব্যাঙপাখি ডাকলি কেন?
- ওটা তো ভালোবেসে ডেকেছি।
- কি বেসে? তোর শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক আছে তো?
- মাত্রই চেকআপ করিয়ে আসলাম।
- চেকআপ? কি হয়েছে তোর?
- তেমন কিছু না। কিছুদিন ধরে রাতে এলোমেলো স্বপ্ন দেখছি। তাই গিয়েছিলাম আর কি!
- তুই তো নিজেই এলোমেলো। কতোবার শোধরাতে বললাম, শোধরালি না! এইবার বুঝ মজা।
- ভালোবাসার মানুষকে এইভাবে বলে না ব্যাঙপাখি!
- ও হ্যালো! রোমিওগিরি অন্য জায়গায় কর। এখানে না।
- কেন? তুই মেয়ে না?
- কষে চড় দেবো! তোর এলোগিরি-মেলোগিরি আমার কাছে চলবে না। এমন শায়েস্তা করবো যে, ফিরতি চেকআপ করাতে হাসপাতালে যেতে হবে।
- তুই যাবি সাথে? তাহলে যেতে রাজি আছি।
- তুই এতো বেহায়া কেন?
- কারণ, আমি ছায়া পড়ি না। লুঙি পড়ি।
- তোকে কেউ জিগ্গেশ করেছে?
- না করলেও কথা কিন্তু ওইটাই সত্য।
- তোর মাথা!
- মাথা না বলে মুড়ি বল। মুড়ি মানেও মাথা। শুনতেও ভালো লাগে।
- তোর ভালো লাগার গোষ্ঠীর চচ্চড়ি!
- চচ্চড়ি! খুব ভালো খাবার। রাঁধতে পারিস? আমাকে ভালোবাসতে হলে ওটা বানানো অবশ্যই জানতে হবে।
- আর যদি তোকেই চচ্চড়ি বানিয়ে দেই?
- তুই জেনে অত্যন্ত খুশি হবি যে, আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। বরং আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো। প্রেমিকা যেভাবেই স্পর্শ করুক, নাম তো তার ভালোবাসা-ই।
- কিন্তু আমি খুশি হলাম না। এখন?
- কর্ম না করে পূণ্য চাইলে হবে? আগে কর্ম কর। প্রশান্তি আপনাআপনি চলে আসবে।
- তাই? আচ্ছা! বলতো, পাবনা ছাড়াও আর কোথায় পাগলের দর্শন মিলে?
- একটু ভাবতে দে।
- একটু কেনো? সারাদিন ভাবতে থাক।
- তার আগে তোর ওড়নায় আমাকে একচিমটি বেঁধে রাখ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।