ভাই
- মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী মামুন ২০-০৪-২০২৪

ভাই
-হাশমত উল্লাহ সোহাগ

যার মুখখানা দর্শনেরর পর
আসতো চোখে ঘুম
ঘুম ঘুম চোখে সোনালি প্রভাতে
দেখিতাম তার মুখ।।

জীবনের অধিকাংশ সময়
কাটতো যার সাথে
নিষ্ঠুর রীতি থাকতে দিলোনা
তারে আজ আমার পাশে।

মনে পড়ে আজ তার সাথে
কাটানো সময়গুলো
সেই সময়গুলো মনে পড়লেই
চোখে দেখা যায় দুলো।

বিকেল বেলায় খেলার মাঠে
সবাই পাশে থাকে
অপেনিং জুটিটা জমতো বেশি
একমাত্র তারই সাথে।

রেকর্ড পরিমান রান-আউটের ফাঁদে
পড়তো যতবার
সব দোষটা আমার ঘাড়ে
চাপাতো ততবার।

সোনালী সন্ধায় খেলা শেষে
ঘরে ফিরে হতাম ফ্রেশ
সময়টা এখনো চোখের সামনে
ভাসতেছে বেশ।

সন্ধার পর চলে যেতাম
বন্ধুদের কাছে
আড্ডা সেরে নিতাম
যে যার বন্ধুর সাথে।

রাত বাড়ার সাথে সাথে
আম্মুর বকাও বাড়ে
এতো রাত হইছে
তাই ঘরে ফিরে যাইতে।

রাত গভীর হইছে তাই
প্রয়োজন ঘরে যাবার
দুজন মিলে একসাথে
শেষ করিতাম রাতের খাবার।

খাবার শেষ করিয়া
বসিতাম রিমোট নিয়া
ক্রিকেটের সব লাইভ খেলা
দেখিতাম মন দিয়া।

ক্রিকেট খেলা না থাকিলে
বসিতাম সনি আট নিয়া
রাতের গভীরতা বাড়াতাম
কে.ডি. পাঠকের আদালত দিয়া।

পাঠকের শো দেখতে দেখতে
চোখে আসতো ঘুম
শুভ্র প্রভাতে চোখ মেলিয়া
দেখিতাম তাহার মুখ।

এতক্ষণ বলতেছিলাম
মেজো ভাই (হাবিব) এর কথা
একটু আগে হয়েছিল
তার সাথে শেষ দেখা।

জীবিকার তাগিদে পাড়ি দিচ্ছে
বিদেশের মাটিতে
শুভ কামনা জানিয়ে তাই
বিদায় দিলাম তাকে।

সফল হোক স্বার্থক হোক
পূরণ হোক মনের সাধ
হে আল্লাহ্! কবুল করো
এই গুনাহগার বান্দার ফরিয়াদ।

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে
শুভকামনায় বিদায় নিয়ে যাই
সব কথার শেষ কথা
আপনাদেরও দোয়া চাই।

১৪ ই আগস্ট ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।