আহত কবিতা
- এস. মেহেদী হাসান - সময়ের বাঁকে ১৯-০৪-২০২৪

পারমিতা! তুই ছন্নছাড়া বর্ণের মতো! কল্পনার স্পর্শে ধীরে ধীরে- হয়ে উঠিস নিঃসঙ্গ কবিতা, আহত কবির আর্তনাদের ছবি! সে কবিতা চূর্ণবিচূর্ণ - জীবনের কথা বলে! যে জীবন শুধু প্রতিক্ষার, উপসংহারের অপেক্ষার! পারমিতা! বহুদিন সকাল দেখিনি! অথচ রোজ নাকি সূর্য আসে, আলোকিত হয় তোদের পৃথিবী। আর আমি ক্রমশ হারিয়ে যায়- রাত্রীর গহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন জঙ্গলে। সেই আঁধারের পটে ভেসে উঠে - একজোড়া মায়াভরা চোখ। তোর চোখ হয়ে যায় - রক্তাক্ত ডায়েরীর জ্যান্ত পাতা। আর আমি হয়ে যাই উন্মাদ পাঠক! সেখানে তন্নতন্ন করে খুঁজি - তোর না বলা কথার সারমর্ম। যা রয়ে গেছে আজও আড়ালে! মনে পড়ে পারমিতা! সেই পদ্ম ফুল! যে ফুল ছিলো ভালোবাসার প্রথম পরীক্ষা। বুক জলে সাঁতার কেটে, তুলে এনে বলেছিলাম- পারমিতা তোকে ভালোবাসি! যার প্রতিটি পাপড়িতে এঁকেছিলি - আমাকে ভালোবাসার সহজ সিকারোক্তি! সেই পদ্ম এখনো তেমন আছে! শুধু বদলে গেছিস তুই। যতোটা বদলে গেলে- আর ফিরে আসা যায় না! পারমিতা! মনে পড়ে-সেই জলহীন নদীর কথা! যার বাহুতে কেটেছে বারোটি বসন্ত। সে নদী এখন অনন্ত যৌবনা! ঢেঁউয়ে ঢেঁউয়ে আছড়ে পড়ে - দূর্বল পাড়ের উপর! একে একে গিলে খায়- জীর্ণ বসতি গুলো। মুছে দেয় অজান্তে রেখে যাওয়া- স্বপ্নলোকের শেষ চিহ্ন! আর আমি হয়ে যায়- নিঃস্ব, একাকী পথের পথিক।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।