শিক্ষক ও আমি
- মামুনুল হক - সোনালি অতীত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হয়েও প্রথম শ্রেণির কাতারে!
দু'চারটে টাকা নিয়ে ক্লাসের ফার্স্ট বয়কে
কিছু খাওয়ায়ে নিজ বলয়ে বশে রাখা,
পাঠ অধ্যয়ন না করেও শিখে আসার
ভান করা কিংবা নানান চাল চাতুরী করা,
আর পরিক্ষার হলে সহযোগিতা হাতিয়ে নেওয়া,
কোনো রকম পাস করা কিংবা একটু বেশি নম্বর পাওয়া,
এই যেন নিত্যদিনের এক আসক্তে জড়িয়ে পড়া।
অন্যদিকে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত
ধ্যানে মগ্ন মা একটা পরিত্রাণের আশায় দিনাতিপাত করছেন!
সে সুবাদে একদিন দেখি বাড়ির আঙিনা-
এক ভদ্রলোকের পদচারণায় মুখরিত;
নিজেকে প্রশ্ন রেখে বলেছি কে এই বিনম্র!
সত্যের প্রতীক, জ্ঞানগর্ভ, পিতৃতুল্য ভ্রাতা এক
শিক্ষক আমার প্রতীক্ষারত!
ঘরে ঢুকতেই মা বলেন- তোর শিক্ষক বসে আছেন।
কী স্নেহপ্রবণ! কী আদর্শিক! দেখেই তা বুঝা যায়।
আমি অভিভূত! আমি আশ্চর্যান্বিত, দেখে এই পিতৃতুল্য!
এখনো না বুঝি স্বরবর্ণ, বাদ দেয়া যাক ব্যঞ্জনবর্ণ!
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হয়েও প্রথম শ্রেণির কাতারে!
মহাজ্ঞানী শিক্ষক বুঝে ফেলেছেন এই শিষ্যের ধরণ,
তাইতো বর্জন করেছেন একাডেমিক পঠন!
শুরু করেছেন হাতেখড়ি সঙ্গে আছে শ্লেট।
কী অপূর্ব কোশল! চমতকার ছন্দের প্রয়োগে-
শূণ্য থেকে পূণ্যে ভরে গেছে আমার এই জীবন।
আমি ধন্য! আমি চিরকৃতজ্ঞ! আমি চিরমাথাবনত!
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।