কাকুতি
- আকছার মুহাম্মদ - নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙুল ২৫-০৪-২০২৪
ব্যস্ত পথিক ফুটপাতের তীর বেয়ে,
শরণার্থী সেজে আনমনে হেটে যাবার ক্ষণে
পিছনে দুর্বল হাতের স্পর্শ স্পন্দন-
সময় নদে হেরে যাওয়া একটি জীবন।
জল পড়া চোখের অস্পষ্ট চাহনি,
বাড়িয়ে দু্হস্ত ধরিত্রীর উঠনে
এক বায়োবৃদ্ধের করুন কাকুতি.. ... ;
গোঙানি সুরের মায়াময় কারুকাজ
পুষ্টিহীনতায় অসার সার সোহাগ
একনিষ্ঠ পরিচর্যায় আকাঙ্ক্ষিত কথা
" বাবা, কিছু টেহা দেন আল্লাহ আফনার বালা করব "।
নখ থেকে চুল। সতরে জমা সন্যাসী কালোকাক
জন্মের মাঠিতে ক্ষীণ দুপায়ের বাক
" দেন হ বাবা, কিছু টেহা দেন
আল্লাহ আফনার বালা করব "।
উদ্দেশ্যে ছোড়া কথা - কিছু দিতে হবে
সীমাহীন মরুভূমি হোক, ওর কিছু চাই
এ পকেট ঐ পকেট বুক পকেট
চুর পকেট ; অন্তঃসার শূন্য পকেট
কতকদিন থেকে শূন্যপথে যাত্রা নিরেট ।
অভয়ারণ্য ভেদ করে আবার পিপাসা
" ওহে বাবা, কিছু টেহা দেন আল্লাহ আফনার বালা করব "।
মুখ ফিরিয়ে বিচ্ছেদে হাটা সাজালাম
অনুচ্চারিত জবানে বলেই গেলাম
" শূন্য যে মোর থলি, শ্রদ্ধার্হ সোনার বাংলায়।
হাত বাড়িয়ে অন্য জলাধারে ; কাঙালি ভোজে
অধিকতম আকুতি নিয়ে নিঃসৃত নাগরিক "
দূর হতে বাতাশে বয়ে আনা শব্দের রোমন্থণ
" বাবা কিছু টেহা দেন, আল্লাহ আফনার বালা করব"।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।