চৌরাস্তার মোড়
- বৈশালী গাঙ্গুলী ২৬-০৪-২০২৪

চৌরাস্তার মোড়ে একটি বার দেখে এসো-
হাড় হিম শীতে পড়ে আছে একটি বাচ্চা-
রাস্তার কুকুরটা ঠায় আছে তার সাথে বসা;
ওটা শুনেছি বড্ড বেশী মানুষ ঘেঁষা।

বাপু- বাচ্চাই বলেই না হয় আজ বললাম-
বেঁচে বড় হলে না হয়- রমলা,কমলা, জামিলা, জেমি- বাজারের উপযুক্ত যেকোন একটা নাম, পেশা অনুযায়ী দিতাম।

মহান এক লেখকের উক্তিটা-
জন্মের পরে- কালো গাড়ির জানালা সরিয়ে চৌরাস্তার ঠিকানায়,
চিৎ হয়ে পড়ে থাকা বাচ্চাটির গল্প-
খুব মানায়, "নামে কি আসে যায়"।

তা বলি বাপু যখন- সবাই সব জান্তা আমরা,
মন নাড়িয়ে, দোষগুলো চৌরাস্তায় ফেলে দিয়ে; সবাই কি হতে চাইছি সৃজনীহারা!

ছেলেরা বুঝি-
বৃদ্ধ বাবা, মাকে বৃদ্ধাশ্রম পাঠায় না?
এমন করে, কুসংস্কারে-
আলোর দিকে চোখ বন্ধ করে বেঁচে থাকার রোগকে বলে কি জানো - "রাতকানা"।

আর অনেক হয়েছে এবার-
মেয়েটি কাঁদছে, না হয় তাকে ঘরে নিয়ে আসি।
এমনি তো কত লক্ষ টাকা জলের মত খরচা করে ধনী, শিক্ষিত দম্পতি-
বলে সন্তান চাই আর্টিফিশিয়ালি।

জঠরের সম্মান না হয়, নাই বা পেল-
ওই মেয়েটির বাঁচার অধিকার আছে-
না, এটাও সমাজের সংসদে, মোটা বই ঘেঁটে বের করার মত জটিল প্রশ্ন- ধারালো।

ঈশ্বর তুমিই একবার না হয়, বিচারের খাতায়,ন্যায়-অন্যায়ের হিসেব করে দেখো!
সময় না পেলে, হাজার কেসের মত এটাকেও পেডিং লিখে-
ফুল,চন্দন,চাদর, মোমবাতির ভীড়ে;
অসহায় হয়ে মন্দির, মসজিদ, গীর্জায় সানন্দে থেকো।

মানুষ না হয় একের পর এক ভুলে ছাড়ুক সব ধর্ম- জয় হোক হিংসা, অমানবিকতা অকর্ম!
একদিন না হয় ধ্বংসের শেষে,
ছাই ও মাটিতে ঢাকবে সবার মোটা চর্ম।

নির্লজ্জ জড়তার গর্বে বুক ভরি ততদিন;
বাছাই করি হাজার আঠেরো প্রকাশনী,
পথশিশু, মেয়ে-ছেলের বৈষম্যের ওপরে প্রকাশ করি দারুণ সব গল্প, কবিতা, লেখনী।
আর সব জায়গায় গিয়ে বলি- "আজ হয়েছি আমরা স্বাধীন"!

=============================

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।