কোটা
- জাহিদ হাসান নাদিম - সৌপ্তিক ২৬-০৪-২০২৪

আমি পুরুষ, রক্ত মাংষের মানুষ আমি, আমি শক্তিশালী, জ্ঞানী।
সারাজীবন ধরে পরীক্ষা দিয়েছি, পেয়েছি হরেক ঢঙের কাগজ,
কত রাত কাটিয়েছি নির্ঘুম, বইয়ের পোকারা খেয়েছে মগজ।
কাগজের পালায় জমিয়েছি কত রকমের যোগ্যতা, ফুরিয়েছি অরণ্যানী।
আজ নাকি সেসব পানি, অকেজো, নর্দমার নোংরা পানির চেয়েও সস্তা,
চাকুরী আজ যোগ্যতায় হয়না, লাগে কোটা, টাকার বস্তা।

এভাবে দেশে যে বীজ করছো বপন, আমলার নানা পদে,
এরা যখন বৃক্ষ হবে, শেকড়ে হবে শক্ত, দেশটাকে নিবে গদে।
তমিস্র সেঁথা সঙ্গী হবে, সঙ্গী পানি, দেশটা লুটাবে কাদায়,
সেদিন কিছু আবাল রবে, গদিত বসে গল্প উড়াবে, মুক্তিযোদ্ধা ছিল দাদায়।
দাদা মহান সন্দেহ নেই, কিন্তু নাতি করল কি! লুটিলো দেশ,
ভাবিল সে মহান কারন যোদ্ধা যে তার দাদা, তার অধিকার আগে, করবে শেষ।

ইন্টারভিউতে জ্ঞানের যোগ্যতার বড় যোগ্যতা কোটা,
লিখিততে বস্তা বিছাও নয়তো আনো আছে যত কোটা।
জনগন তুমি নও, তোমার দাদা-নানা যুদ্ধের সদন নেয়নি যে,
ভাগাড়ে মরো তুমি, এ দেশ তোমার নয়, এ দেশ কোটার,
বস্তা বা কোটা ছাড়া চাকুরী হবেনা হে বাপু, তুমি জনগন নও শুধু ভোটার।
তোমার জাত, তোমার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন হবে, ওদের নিয়ে বলছো যে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।