তিতিক্ষা
- জাহিদ হাসান নাদিম - সৌপ্তিক ২৮-০৩-২০২৪

প্রথম প্রেমের বিচ্ছেদের পর তোমার সাথে হয়েছিল আমার আকর্ষিক পরিচিয়;
স্বভাবতই ডুবন্ত মানুষ খড়কুটু পেলেও তা আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চায়,
আমিও চেয়েছিলাম এ নিন্দিত মর্ত্যে তোমায় আকড়ে ধরে বাঁচতে,
চেয়েছিলাম তোমার রঙে রাঙানো একটি প্রস্তর পারিজাতে পরিপূর্ন বসুধা।
হয়তো পেয়েছিনু খানিক, পেয়েছিনু মর্ত্যের মাঝে অলীক স্বর্গের ছোঁয়া,
বহুবেলা মুগ্ধ করে রেখেছিলে আমায় সুচারু চাহনীতে, বাড়িয়েছিলে মায়া।
নিটকতা বাড়িয়েছিলে আমাদের বন্ধুত্বে, পড়েছিনু আমি পুন:প্রেমে বাঁধা;

তিতিক্ষা, যে প্রেম আমায় পশ্চাৎপদ করেছিল, করেছিল জীবন্ত মৃত,
আজ আমি সে প্রেমেই পড়েছি আবার, হয়েছি পুন: প্রমোদ দ্যু প্রেম প্রাপ্ত।
কাছে নিয়েছো যখন আরও কাছে নাও, অর্ধপূর্ণ এ দেহ করো গো পরিপূর্ণ,
এ মনে বড় বিষাদ, পোড়ার গ্যাঁদগ্যাঁদে ঘাঁ, জুড়াও জ্বালা, প্রেমে করো পর্ণ।
তোমার কোমল দুধে মাখা হাতে আমায় আলিঙ্গন করে ফুলেল করো নিসর্গ,
নয়নরঞ্জন প্রেমেতে মোহিত করো এ অবিমৃশ্যকারীকে, তোমাতে দেখাও স্বর্গ।

তিতিক্ষা, পারো না আমার যত লোর, যত জরা-জীর্ণতা সব দূর করে দিতে?
তিতিক্ষা, পারো না এ রুগ্ন বাগানে আবার পুষ্পসারের বন্যা প্রবাহিত করতে?
পারো না বটগাছ হয়ে ধারন করতে আমায় তোমার সুবর্ণ শরীরে?
ভরিয়ে দিতে পারো না আমার এ সমিস্রে নিমজ্জিত কোপন জীবনকে নুরে?

নাকি তুমিও মনে করো আমি নিরুদ্যম, অশ্লীল, বেহায়া, অবিমৃশ্যকারী?
নাকি তুমিও আমায় খুব আপন করে নিয়ে মাঝ নদীতে ডুবাবে তরী?





মর্ত্য=দুনিয়া, বসুধা | প্রস্তর=শক্ত | পরিজাত=স্বর্গীয় ফুল | সুচারু=সুন্দর | প্রমোদ=বিলাস | দ্যু=স্বর্গ | নিসর্গ=প্রকৃতি | কায়=দেহ | নয়নরঞ্জন=সুন্দর | অবিমৃশ্যকারী=যেজন অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে কাজ করে | পুষ্পসার=ফুলের রস | তমিস্র=অন্ধকার | সুবর্ণ=স্বর্ণ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।