আবেদন
- বৈশালী গাঙ্গুলী ২৫-০৪-২০২৪

খুব মিষ্টি- মধুর আবেগের লেখা,
মনের কাছে ধরা দিচ্ছিল-
ভাবনার মিছিলে হটাৎ হোল বিস্ফোরণ।
লিখতে, লিখতে লেখার চরিত্রের প্রেমে পড়ে গেলে, লেখকের যা হয়-
শুরু হলো বহুমুখী স্মৃতিচারণ।

লেখার মধ্যে- কান্না, হাসি, লজ্জা সব কাগজে ঝাঁপিয়ে পড়লে;
কলমের মন মুচকি হাসিতে ভরে যায়।
ইচ্ছাগুলি শাখাপ্রশাখার মতো একটা বড় পাকুড় গাছ হয়ে
দেয়াল বেয়ে জানালার ধারে এসে দাঁড়ায়।

এবার তাকেও শোনাতে হবে,
কি লিখেছি কবিতার খাতায়!
কেমন করে শব্দ ছুড়ে বানিয়েছি রাজ্য-
পাহাড়, সূর্যের আলোর দ্যুতি একই পাতায়।

কেমন করে নতুন রকমারি ঝক্কি পোহাতে,
বুকের মধ্যে দামামা বাজে-
ভোর দুপুরে ভালোবাসার তাড়নায়?
কেমন করে একা একা সমস্ত অস্তিত্বকে সঁপে,
শুধু দেরাজে থাকা পুঞ্জীভূত মেঘগুলো আঁকে-
প্রেমের নাম, চেহারা, আকাশের আঙ্গিনায়!

গাছ কৌতূহলে, বলে ওঠে-
'তারপর'?
বোঝে না যে,
'তারপর' মৃদু পায়ে আসে!
সিঁথি হারিয়ে যায়, এলোকেশির চুলের ঝটকায়।
যেমন শত্রু নিরস্ত করে হৃদয়ের তলের মাটি, বাস্তবের সীমানায়!
তোমার চলে যাওয়ার পরে , আজ বিশ্বাসের -
অজানা-অক্ষম ঠিকানা;
কোনমতে সুখ আউড়ে যাচ্ছে সময়।

এখনো চেতনা, অনুভূতি, আকাশ, তারা, আর পাকুড় গাছটি সহবাস করে।
ঘরের কোণে একরাশ স্মৃতি,
কিছু রঙিন মলাটে বইয়ের কালিতে তুলে রাখা আছে, শব্দের জীবন্ত আশ্রয়।

যখন প্লাবন আসবে-
দেখবে তখন,
নিথর সবুজ নিয়ে পৌঁছোবো তোমার দরজায়।
======================

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।