পাথরের বালিশ ভেঁজা কেনো?
- মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রবিন ২৫-০৪-২০২৪

ধ্যাত!মেজাজটাই বিগড়ে গেল।
কি দরকার ছিলো চোখেমুখে পানি ছিটিয়ে ঘুম ভাঙানোর?
প্রচন্ড রাগ নিয়ে লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠি আমি
আজ তার একদিন কি আমার একদিন।
হঠাৎ মনে হলো কে যেনো আমার ভয়ংকর চেহেরাটা ক্যামেরা বন্ধি করলো
জ্বলে উঠলো ফ্ল্যাশ লাইট।
ঐ কেরে...
কার এত বড় স্পর্ধা?
গলা ফাটিয়ে চিংকারে বাড়ীর দেয়াল যেনো ফেটে পড়ে
নাহ! সব নীরব নিস্তব্ধ
কারো কোনো সাড়া শব্দ নেই।
ফ্ল্যাশ লাইটের মত আলো আবার এসে পড়লো চোখে
এইবার আমিতো বোকা হয়ে গেলাম
তাকিয়ে দেখি জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়ছে আমার চোখে।
ভাগ্য ভালো আমার গলা ফাটানো চিৎকার কারো কানেই পৌঁছায়নি
বিষম লজ্জা থেকে বেঁচে গেলাম।
___
একটুপর খাটের এক কোনায় আম্মু এসে বসলো
কিরে রবিন তুই কাঁদছিস কেনো?
একটু হাঁসছি হাহা,আমি নাকি কাঁদছি।
আমি বললাম,কি দরকার ছিলো পানি ছিঁটানোর?
আরেকটু ঘুমালেই পারতাম।
আম্মু বললো,তোর যেই কুত্তা মেজাজ
ঘরে কেউ পাগল হয়েছে নাকি আজ,
তোকে কে পানি ছিটিয়ে ঘুম ভাঙাবে বাবা?
দুঃস্বপ্ন দেখেছিস?
প্রশ্নটা শুনেও কোনো উত্তর দিতে পারছিনা।
আমিও একটু অবাক হচ্ছি
তাকিয়ে দেখি বালিশ আমার ভেঁজা
পাশের আয়নাতে নজর গেলো
চোখ দেখে মনে হলো আম্মুতো ঠিকই বললো।
কিন্তু আমি কাঁদবো কেনো?
আমারতো কোনো কষ্ট নেই
কষ্ট নেই বলতে সেই কবে থেকেই নিজের কোনো চাহিদা নেই।
অনেক আগেই হৃদয় থেকে দয়ামায়া উপড়ে ফেলে দিয়েছি
সুযোগ পেলেই ভালোবাসার গলাটিপে ধরি।
কেউ মারা গেলেও রবিনের চোখে পানি আসবেনা।
কত্ত হাজার বার শুনেছি
রবিন তুই পাষণ্ড
তুই পাথরের।
__
উত্তর খুঁজি
পাথরের বালিশ ভেঁজা কেনো?
২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।