পরাণের ঘাস-১
- হিমেল কবি - পরাণের ঘাস ২৪-০৪-২০২৪

আমি কারে লয়া করুম এ ঘর!
সোনার সংসারখান বুঝি খাড়ায়া
আছে ভাঙা চালের ঠাঁটের উপর।
আমি কারে গিয়া জিগামু কও;
সে ক্যান পুণ্যিমায় চান্দের পানে
চাইয়্যা থাকে চাতকের মতোন।
ক্যান সে তাকায় না বৃক্ষের পানে-
কতকাল ঝিম ধরে আছে এ পরী
উঠানের নিমরঙা চালতার ডালে।

গেরামের বেবাক লোকে কয়;
তুমি রসিক আছিলা একদিন,
তয়,এমন নিরস হইয়্যা আইজ
ক্যান মুছো চোখ,পরাণের ঘাসে।

তোমারে একলা ফালায়া আমি;
উনানের তাপ সয়,টেকে না মন-
এই বুঝি,আইন্ধার পাড়ি দিয়া তুমি
থুয়া যাইবা আমার নিছক স্বপন!
আমার কইতে শরম নাই আজ;
ছোট এই দেহ-ঘরে,নাই কোন ডর।
উড়াল দিয়া যাও,এ সংসার থুয়া
যেই দ্যাশে নাই কোন বাড়ি-ঘর।

কি ছিলো দ্যাখনের,হরিণের তাজ।
সিংহের দু'পাটি চোয়ালের ভিড়ে;
সংযত বিঙ্গ ডাহুকের দাঁত!
মধ্যাহ্নবেলা অসাড় পা মেলে সেই-
তুমি গেয়েছিলে সুন্দরি গীত,
তোমার বুঝি তাও মনে নাই আজ।

পড়নের হলুদ-শাড়িখান পরিনা আর;
উঠানের ঘাসে লেগে কচু-পাতা রঙ,
আইজ তোমার চিবুক ছুঁয়া দ্যাখি;যেন
আমার সেই সংসার নাই বুঝি আর।
দগ্ধ-ঘরের খুঁটিধরে খাড়ায়া আছি-
তুমি নিথর ঘুমায়া আছো চিতার উপর।

তোমার আর নাই দিন তারিখের পাঠ;
এক কোটি দিনে হয় হাজার বছর,
আইজ থিইক্যা তুমি এই পরাণেরি ঘাস
বাইন্ধ্যা রইলো এই শাড়ির আঁচল।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।