আমাদের বাড়ি
- মোঃ আব্দুর রহমান ২৪-০৪-২০২৪

ছোট্ট একটা বাঁশের কুঁড়ে, গোলপাতায় ছাওয়া
কোমল হাতের লেপন বুকে, আরও ছোট্ট দাওয়া।
উঠোন জুড়ে ঘাসের চাঁদর, শুপারি পাতায় ঘেরা
তাল পাতার পর্দা দেওয়া, আধেকটা তার ছেঁড়া।
কুটির- পাশে দৃষ্টি জুড়ে চাঁপানঘাটের বিল
আকাশ ঘিরে পাহারা দেয় সাত-পাহাড়ীর চিল।
একটু দূরে মেঠো পথে ভাঁটি ফুলের রাশি
ভোরের হাওয়া শুনিয়ে যায়, বাঁশের পাতার বাঁশি।
ঘুম ভেঙ্গে যায় বিহান বেলা, কোকিল-কুহুর ডাকে
নিজেকে হঠাৎ খুঁজে পাবে বুনো শালিকের ঝাকে।
দ্বিপ্রহরে সূর্য যখন ভীষন তেজে জ্বলে
ছোট্ট কুটির দিব্যি ঘুমায় আম্র ছায়া তলে।
বৃষ্টি মাঝে স্নান দিয়ে যায়, টাপুর-টুপুর ছন্দে
হঠাৎ কখন ছন্দ হরায়, দোঁলন চাপার গন্ধে।
সূর্য যখন হারিয়ে যায়, দৃষ্টি সীমার বাকে
চন্দ্রমামা হেসে ওঠে, সেগুন বনের ফাঁকে।
সোনা-রাঙা জোৎস্নায় ভরে, ছোট্ট সেই কুঁড়ে
রুপকথার ই রাত্রি নামে সমস্ত বাড়ি জুড়ে।

ভীষন এক ব্যস্ত শহর, যেথায় এখন থাকি
ইট পাথরের কঠিন খাঁচায় আটকে পড়া পাখি।
আকাশটাকে মনে হয় ইমারতের ছাদ
কোথায় গেল তাঁরার দল? হারিয়ে গেছে চাঁদ।
যত্র-তত্র কারখানা আর বাস-ট্রাকের ধোয়া
বৃক্ষরাজির ছায়া কোথায়? শীতল বায়ূর ছোয়া?

আমি শুধূ খুঁজে ফিরি, শত কোলাহল- ভীড়ে
রাঙা বসনা শান্ত গোধূলী, ছোট্ট কোন নীড়ে।
আমার আমিকে ফেলে এসেছি, চাঁপানঘাটের তীরে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।