ঘুমন্তপুরীর রাজকন্যা
- মোঃ আব্দুর রহমান - রুপকথার রাজকন্যারা ২৪-০৪-২০২৪
মাঠ পেরিয়ে, নদী পেরিয়ে, গহীন বন ছাড়ি
পদ্মভরা দীঘির পাড়ে রাজকন্যার বাড়ী।
হাওয়াই উড়ে চলে কন্যা, সঙ্গীরা পঙ্খীরাজে
পরীর দেশের ঝালর দিয়ে রাজকন্যা সাজে।
শতেক হাতি বয়ে বেড়ায় তার কালো চুল
এক প্রভাতে রাজকন্যা করল বড় ভুল,
প্রাসাদ চূড়ার কক্ষ থেকে মেলল দীঘল কেশ
জানলা গলে পড়ল বনে তার প্রান্তদেশ।
বনের ভিতর লুকিয়ে ছিল শিং ভাঙ্গা এক দৈত্য
রাজপ্রাসাদে ঢোকার পথ খুঁজতো সে নিত্য,
কিন্তু প্রাসাদ পাহারা দিত রাজার শত ভৃত্য।
তাই, রাজকন্যার ভুলের সুযোগ পেয়ে
প্রাসাদ চূড়ায় উঠে গেল দীঘল চুল বেয়ে।
রুপার কাঠি ছুয়ে দিয়ে ঘুম পড়াল তাকে
এই মায়ার ঘুম ভাঙ্গবে না আর হাজার শত ডাকে।
ঘুমিয়ে গেল বৃক্ষরাজি, বনের সকল পাখি
হারিয়ে গেল হঠাৎ করেই মিষ্টি ডাকাডাকি।
রাজা রানীও ঘুমিয়ে গেল, কে করবে শোক?
মায়ার জালে ঘুমিয়ে গেল রাজ্যের সকল লোক।
এমনি করে কেটে গেল হাজার বছর প্রায়
রাজ্য যেন মৃত নগর, কোথাও কেউ নাই।
একদিন এক রাজকুমার হরিণ শিকারে এসে
পানির খোঁজে পৌছে গেল ঘুমন্ত পুরীর দেশে।
অবাক হয়ে দেখল চেয়ে ঘুমিয়ে আছে সব
নেই কোথাও একটু সাড়া, একটু কলরব।
খুঁজে পেল প্রাসাদ চূড়ায় রাজ কন্যার সুক্তি
বুঝল কুমার, সোনার কাঠিই পারে দিতে মুক্তি।
ছুটল কুমার ঘোড়ায় চড়ে, সাত সাগর দিয়ে পাড়ি
সোনার কাঠি আছে শুধু চন্দ্র রাজার বাড়ী।
জাগল রানী, জাগল রাজা, জাগল রাজকন্যা
রাজ্য জুড়ে বয়ে গেল অসীম খুশির বন্যা।
কুমার পেল ভালবেসে রাজকন্যার হাত
এমনি সুখে কেটে গেল তাদের দিন রাত।
এখানে,
আমাদের ভাবনায় বাধা কিছু নাই
নিজেদের খুশি মতো কাহিনী বানাই।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।