রাজকন্যা পারুল
- মোঃ আব্দুর রহমান - রুপকথার রাজকন্যারা ২৯-০৩-২০২৪

রাজার ভীষন মন খারাপ, রাজ্যে নাই সুখ
রাত্রি দিন কেঁদে কেঁদে রানীরা ভাঙ্গে বুক।
হীরা মানিকে ঘর ভরা, কলস ভরা মোহর
হাজার শত হাতি ঘোড়া,বিরাট সৈন্য বহর।
সবই আছে, নেই যে কেবল রাজার মনে সুখ
সাত রানীর কেউ দেখেনি সন্তানেরই মুখ।
এমনি যখন কাটছিল দিন দুঃখ ভরা মনে
ছোট রানীর উঠল ব্যাথা মধ্যরাতের ক্ষণে।
খবর গেল রাজার কাছে, দুখের দিন শেষ
সেই খুশিতে ছোটকে দিলেন আর্ধেক তার দেশ।
জন্ম নিল ফুটফুটে সাত পুত্র, এক কন্যা
ঘরময় ছড়িয়ে গেল মিষ্টি আলোর বন্যা।
ছোটর সুখে অন্য ছয়ে হিংসেই উঠল জ্বলে
আট সোনাকে কবর দিল জীবিত মাটির তলে।
রাজা জানল, রানীর হয়েছিল ব্যাঙের ছানা
ক্ষোভে বললেন, ছোটর রাজ্যে ঢোকা মানা।

ছোট্ট সোনাদের মাটির কবর ফুড়ে
সাত চাঁপা ও এক পারুলে গেল বাগান জুড়ে।
রাজা দেখে বেজায় খুশি, সারাদিন থাকে চেয়ে
ভাবে, হঠাৎ কেন বাগান গেল বুনো ফুলে ছেয়ে!
একদিন তিনি মালীকে পাঠান ছিড়ে আনতে ফুল
বিপদ দেখে সাত ভাইকে ডেকে ওঠে পারুল
সাত ভাই চম্পা ঘিরে ধরে হাতে হাত রেখে
বৃদ্ধ মালী অবাক হয় কথা বলা ফুল দেখে।
খবর পেয়ে রাজা আসেন পাইক পেয়াদা জুড়ে
এর মাঝেই চম্পা পারুল লম্বা হয়ে,ওঠে মেঘ ফুড়ে।
রাজা বলেন, তোমরা কারা বাগান জুড়ে বাড়?
'ছোট রানীকে আনুন তবেই বলব কথা আরও।'
রাজা তাকে আনল খুঁজে পুর্বের ক্ষোভ ভুলে
চম্পা পারুলরা বলল তখন সব ঘটনা খুলে।
কাছে যেয়ে রাজা রানী যেই ছোয়াল হাত
কেটে গেল ভাইবোনদের অমানিশার রাত
মানুষ রুপে ফিরল সাত ভাই, পারুল রাজকন্যা
রাজ্য জুড়ে বয়ে গেল আনন্দ-সুখের বন্যা।
ছয় রানীদের শাস্তি হল, অন্ধ কুঠুরীতে পুরে
এরপর কাটল দিন শান্তি সুখে, পুরো রাজ্য জুড়ে।
এখানে,
আমাদের এইসব ভাবনায় ভয় কিছু নাই
তোমার আমার গল্পরা একদিন রুপকথা হয়ে যায়।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।