৩০ এর বেড়াজালে।
- তপন চন্দ্র রায় (Tapan Chandra Roy) - বিন্দু ২০-০৪-২০২৪
সুবোধ, আমি বলছি না তুই পালিয়ে যা। বরং বলছি, ৩০ এর বেড়াজালে থাকিস না আবদ্ধ হয়ে।
,
আজকের সারা দেশের তরুণ সমাজ ছুটছে ৩০ এর বেড়াজালে। যে সময়ে নিজ দক্ষতা দিয়ে নিজস্ব স্থান অর্জনের কথা, সে সময়ে তারা ছুটছে পরাধিনতার বেড়াজালে আবদ্ধ হবার জন্য। মাস শেষে সামান্য কটাকা আর সংসার নামক বন্ধনে আবদ্ধ থাকার নামই তো জীবন নয় । এটাই যদি তোর জীবন হয় তো আগামীর প্রজন্মের কাছে কি জবাবদিহি দেবে তুমি? তাকেও কি বলবে, পড় ,পড় , পড় আর শেষে ৩০ এর পিছনে ছোটো। দেখ যে ছেলেটা পড়ালেখা না করে মেকানিক্স শিখেছে কষ্ট করে, সেও আজ নিজে একটা মেকানিক্স এর শপ খুলেছে, তিন চার জন কর্মচারী তার অধীনে কাজ করে। যে ছেলেটা দর্জির কাজ করতো বলে এক সময় বন্ধুরা কটাক্ষ করতো, সে আজ টেইলার্স ব্যবসায় অনেক সুনাম কুরিয়েছে, ১০ জন মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছে সে। যে ছেলেটা একদিন একমুঠো খাবারের জন্য হোটেলে বয়ের কাজ নিয়েছিল , ভাগ্য আর কর্মগুণে তার এখন দুই দুইটা বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে ঢাকায়, অনেক টাকার ব্যবসা করে, ছেলে মেয়েরা মেডিকেলে, কেউবা ঢাবিতে পড়ছে। পড়ালেখা না শিখেই যদি এনারা এতো কিছু করতে পারে তবে তুমি এত জ্ঞানার্জন করেও কেন কিছু করছো না? কেন শুধুই ছুটছো ওই ৩০ এর বেড়াজালে। যাও না ওই ফার্মে , যেখানে অনেক কিছু শিখতে পারবে, আর তার অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে তোমার সফলতার শিখরে। কেন যাচ্ছ না সেই মার্কেটে যেখানে অভিজ্ঞতা নিয়ে তুমিও একদিন হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়ী। শিখছো না কেন আইটির মুক্তচর্চা , যার মাধ্যমে আইটি বিশারদ হয়ে উঠবে। নতুন নতুন কাজে যুক্ত হও এবং হয়ে যাও একজন সফল উদ্যোক্তা ।জানি তুমি পারবে। শুধু মন থেকে মছে ফেল ওই ৩০এর বেড়াজাল। বিলিয়ে দাও তোমার মেধা, শ্রম আর অভিজ্ঞতাকে । একদিন তোমার গল্পও অন্যরা বলবে, তোমাকে অনুকরণ করবে। আর কিছু না হোক অন্তত তোমার ছেলে মেয়েরা গর্ব বোধ করবে। বলবে আমার বাবা শ্রেষ্ঠ বাবা, আমার বাবা সবার সেরা।
সুবোধ , আর বসে থাকিস না। আজ হতেই শুরু কর তোমার নতুন পথের যাত্রা। একদিন তুমিই জিতবে। আবদ্ধ থাকিস না ৩০ এর বেড়াজালে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।