মানবতার কান্না
- তপন চন্দ্র রায় (Tapan Chandra Roy) - বিন্দু ২০-০৪-২০২৪
এইতো বেশ আছি,
রোগ নেই, শোক নেই, জরা নেই ,
জব্বর খাচ্ছি আর ঘুরছি।
পাশের বাসার কাকু-
খুক খুক করে কাশে- সারা রাত ধরে,
ওষুধ নেই, টাকাও নেই,
এগিয়ে গেলে ঝামেলা জড়ায় দুই পায়ে
এটা দাও ওটা দাও, বিরক্তির নেই শেষ।
তার চেয়ে ভাল এড়িয়ে যাওয়া-
এইতো আমি আছি বেশ।
রাস্তার মোড়ে যান্ত্রিক বিস্ফোরণ
অনেক লোক আহত,
উদ্ধারের ইচ্ছা মানেই পেরেশানি,
হাসপাতালে নাও, চিকিৎসা করাও,
আত্মীয়কে খবর দাও,
ওহ্ ঝামেলার নেই শেষ
তার চেয়ে ভাল এড়িয়ে যাওয়া
এইতো আমি আছি বেশ।
সেদিন বৃষ্টিতে,
টেক্সি সজোরে হামলে পড়ে রিক্সায়
বেচারা বৃদ্ধ চালক ,
আঘাত পেলো সর্ব শরীরে,
রিক্সাও দুমরে মুচরে একাকার,
এগিয়ে গিয়ে কি লাভ!
মরে মরুক হতভাগা, আমার কি!
আমিতো নই রিক্সাচালক,
ব্যাপারটা সাংঘাতিকও বটে,
হতে পারে আইনি বিড়াম্বনা ও ক্লেশ
তার চেয়ে ভাল এড়িয়ে যাওয়া
ঝামেলাহীনে রয়েছি বেশ।
চারদিকে শুধুই শুনি চিৎকার
উচ্চস্বরে চেঁচামেচির ধ্বনি,
এ মরেছে আজ, সে মরেছে কাল
বিশৃঙ্খলা চারিদিকে,
সমাজের কি হাল।
কে মরলো আমার পাশে, কিই-বা আসে যায় তাতে,
আমি তো বেশ আছি ভাল,
সাহায্য করে কি লাভ, ভেবে একবার বলো ।
অফিস শেষে ফিরছি সেদিন
হাঁটছি আনমনে
একটা বাইক হানলো আঘাত,
ব্যথায় কাতর,
আঘাত টাও লেগেছে বেশ,
হচ্ছে মনে এবার বুঝি জীবনটাও শেষ।
যাচ্ছে সবাই আপন মনে,
এটা আবার এমন কি ?
অতি তুচ্ছ সাধারণ কেস।
এলো না কেউ এগিয়ে এবার
ঝামেলা ছাড়াই রয়েছে বেশ।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।