পরানের পুরাণ
- মোঃ ওয়ালিউল ইসলাম সাকিব ১৭-০৪-২০২৪

চক্ষের সামনে বসাইয়া রাইখাও,
তোমারে দেহি না!
তুমি কি আমারে দ্যাহো প্রিয়?
এক আসমান দূরত্ব ঠ্যাহে মনের মইধ্যে,
ধইরাও তোমারে ধরতে পারি না,
ধইরা রাখতে পারি না;
তুমি কি আমারে ধরতে পারো প্রিয়?
মনটার ভিত্রে কেমুন জানি অচিন ব্যথা ঠেহে,
চিনচিন কইরা উডে মাথাডা!
শুনশান হইয়া তুমি বইসা থাহো,
জনমের পর জনম পার হইয়া যায় চক্ষের পলকে।
তুমিও কি আমারই লাহান ব্যথা পাও প্রিয়?
মনের কথাগুলি সব হাওয়াই মিডাই এর লাহান চুপসাইয়া যায়,
কইলজাডা আমার বাইর হইয়া যাইবার চায়।
পাশে বইয়াও কই জানি হারাইয়া যাইতে থাহো,
একটু একটু কইরা দূরেই সরো খালি,
চক্ষের সীমানা ছাড়াইয়া বহুত দূরে যাইয়া উডো;
আমিও কি তোমার থাইকা অনেক দূরে সইরা যাই প্রিয়?
তোমার চোখের মইধ্যে যে উথালপাতাল,
আচুক্কা শান্ত নদী হইয়া যায়!
যেই নদীরে জীবনেও শান্ত দেহি নাই,
হেই নদীডা হঠাৎ কইরা ক্যামনে শান্ত হইয়া যায় বুঝবারই পারি না;
কারেন্টের লাহান ঠান্ডায় কলিজাও জইমা যাইতে চায়,
কেমুন আজাবের মতন দম বন্ধ ঠেহে;
তোমারও কি আজাবের মতনই দম বন্ধ ঠেহে প্রিয়?
বাঁইচ্চা থাইকাও মরার লাহান লাগে,
কইলজা,ফ্যাপসা,নাড়ি-ভুঁড়ি সব প্যাচ খাইয়া যাইতে থাহে,
নাকের মইধ্যে লোবান আর পচা লাশের গন্ধ ঠেহে!
পেট মোচড়াইয়া বমি আইতে চায়,
নিজেরেই আমার কেমুন জানি ঘিন্না লাগে;
কইলজার মইধ্যে আলাম পৃথিবী ভালোবাসা লইয়াও,
তোমারে আর ভালোবাসবার পারি না!
তুমিও কি আমারে আর ভালোবাসবার পারো না প্রিয়?
১২-১১-১৮.

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।