"গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর"
- Md. Osmangani shuvo ২৯-০৩-২০২৪

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
অনাবিল আনন্দে ভরপুর।

হেথায় প্রভাত ভাঙে পাখির কলতানে,

মোয়াজ্জিনের আযানের সুর বেঁজে
ওঠে ঐক্যতানে।

হেথায় লাঙল জোয়াল নিয়ে কৃষক দেয় পাড়ি,

দুষ্টু রাখাল ছেলে তারি ঠিক আগে গরুগুলো দেয় ছাড়ি।

একটু ভোরে বেঁজে ওঠে গৃহিণীর সম্মার্জনী

তারি কিছু আগে দূরগ্রামে
বেঁজে ওঠে সনাতন গৃহীনির
শাঁখের জয়ধ্বনি।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
দুঃখ- সুখে ভরপুর।

মসজিদের হুজুর নিমন্ত্রণ জানায়
এই সোনামণিরা সবে
নামায- আযান শেষে
কোরআন পড়তে হবে তবে।

চোখ- মুখ মুছে সোনামণিরা
ছুটে মসজিদের পানে
সকালবেলাটা তাদের শুরু হবে
কোরআনের ধ্বনি শুনে।

এর কিছু পরে সোনামণিরা
বিশ্বজ্ঞানবোঝা নিয়ে
ছুটে স্কুলের পানে

মানুষ হওয়ার ইচ্ছা সবার
এক মনে- প্রাণে।

স্কুল পালানো সেই সোনামণিটি
করে মারবেল খেলা
মানুষ হওয়ার দৃঢ় পণ তার
কিন্তু পড়ার সময় হেলা।

এই ধরণীর সবসুখ তার
যেন এই মারবেলে
তাইতো জীবন ক্ষয় করে সে
মারবেল খেলে খেলে।

স্কুল পালিয়ে মারবেল খেলা
রুটিন তার যেন প্রতিদিনকার
এই জগতের একজন যদি পড়ালেখা নাহি করে

তবে এত ক্ষতি হবে কার?

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
হাসি - উল্লাসে ভরপুর।

বাঁশবাগান ও চিরসবুজ অরণ্যের মাঝে
এক স্কুল হল স্টার্ট
নামটি ছিল সে স্কুলের
শ্রীরামপুর বেসরকারি রেজিস্টার্ড।

কিছুকাল পর স্কুলটি হল সরকারি
তাইতো ক' জন মহান শিক্ষক হল
যে খুবই দরকারি।

শিক্ষকরা স্কুলটিকে করলেন আলোকিত
তাই দেখে পাশের গাঁয়ের লোকেরা
থাকে সর্বদা ঈর্ষাণিত।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
সফলতা-উন্নয়নে ভরপুর।

স্থানটির নাম বুঝতলা
বৃষ্টি- বাদল করে খেলা

হেথায় আছে একটি সিনিয়র আলিম ম্রাদ্রাসা
ইসলামি শিক্ষার প্রতিফলন হবে
এটায় সবার আশা।

হেথায় আছে আরো একটি
বেসরকারি হাইস্কুল
যেথায় শিক্ষা নিতে আসে
কত স্বর্গীয় ফুল।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
আশা~ আঙ্খায় ভরপুর।

ছেলে- মেয়েগুলো মানুষ হবে
এটায় বাবা-মায়েদের আশা
তাইতো তাদের সন্তানদের প্রতি
কঠিন ভালবাসা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সৃষ্টি করেছে
"একটি স্বাধীন বাংলাদেশ"
করেনিকো কোনো ভুল
শ্রীরামপুররেঁনেসা ক্লাব সৃষ্টি করছে
বি,বি,আর,এন, এস হাইস্কুল।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
সৌন্দর্যেতে ভরপুর।

এই গ্রাম থেকে ঢাবিতে পড়ে
ঢাবিকে আলোকিত
কত গুণীজন
জীবনটি যেন তাঁদের মত হয়
এটাই আমার পণ।

এই গ্রামের সোনার মানুষ
খেঁটে ঘাম ঝরায় সারাক্ষণ
তাঁদের জন্য লড়াই করব
উৎসর্গ করব মোর ছোট জীবন।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
সুখ- দুঃখে ভরপুর।

শোনেন শোনেন সুধীজন, শোনেন দিয়া মন
শ্রীরামপুর গ্রামের সুধীজনদের কথা করিব বর্ণন,

আহা করিব বর্ণন----

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
সঙ্গীতের শিক্ষক যিনি
ড.মোঃ জাহিদুল কবির লিটন তিনি
আমরা যাঁকে চিনি।

ছিলেন তিনি ঢাবির ছাত্র
সাবজেক্ট ছিল সঙ্গীত
সঙ্গীতে তিনি দারুণ পন্ডিত
ভাবেন শ্রীরামপুরের মানুষের হিতাহিত।

ইনিও ছিলেন ঢাবির ছাত্র
করেনিকো কোনো ভুল
নামটি তাঁহার সোনার মতন
মোঃ আহসান কবির টুটুল।

ঢাকাস্থ কেরাণীগন্জ্ঞের
নিউ নগর কো-অপারেটিভ সোসাইটি এন,জি,ও এর তিনি বড় কর্মকর্তা

বি,বি,আর এন,এস হাইস্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের হলেন তিঁনি দাতা।

উপরিউক্ত দুই গুণীজন সহোদর ভ্রাতা।

জসীমউদ্দীন হলের ছাত্র ছিলেন তিনি
রাজনীতিতে পটু
তাইতো তাঁহার বিরুদ্ধে কেউ
কয়না কথা কটু।

এই গুণীজনের নাম মোঃ আবু রায়হান
বর্তমানে থাকেন তুলসীডাঙ্গা সবদিকে পারদর্শী তিনি
মনটি তাঁহার চাঙ্গা।

আমার বাবার বন্ধু তিনি
শুনেছি বড়ই জ্ঞানী
বাবার কাছ থেকে শুনে কেবল
তাঁকে চোখে না দেখেও চিনি।

পেশায় তিনি ব্যাংক অফিসার
মানুষ হিসেবে ভালো
তাইতো তিনি সারাজীবন
দেখেছেন সফলতার আলো।

এই গুণীজনের নাম প্রিন্সিপাল মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন
হলেন আমার বাবু
সবদিক থেকে চালাক তিনি
কেউ করতে পারিনি কাবু।

যশোর নতুন হাট পাবলিক কলেজের
আছেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
জীবন সংসারের প্রতিটি ক্ষেত্রে
রেখেছেন তিনি সাক্ষ্য।

বি,বি,আর,এন, এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক উয়ায়েস আলি সিদ্দিকী
মিষ্টি- মধুর দাঁত দিয়ে তিনি
ছাত্রদের দিকে হাসেন ফিঁকিফিঁকি।

বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তা
মোঃ বদিউজ্জামান
রেখেছেন আমাদের শ্রীরামপুরের সম্মান
আমরা আজ ভুলে গেছি তাঁকে,
ভুলে কি গেছি তাঁর অসামান্য অবদান।

এই গুণীজনের নাম মোঃ আব্দুল আজিজ
আইনজীবী ছিল তাঁর পেশা
আইন সম্পর্কে জানার তাঁর
অগাধ ছিল নেশা।

এই গুণীজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
দর্শনের ছাত্র
কিশোর বয়সে কত খেলাধুলা করেছেন তবু
ব্যাথা হয়নি তবু গাত্র।

গুণীজনের নাম মোঃ পল্টু
বর্তমানে আমেরিকান প্রবাসী
ব্যক্তিজীবনে মহান তিনি
থাকেন সর্বদা হাসি খুঁশি।

মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম- মাওলানা রেজাউল করিম
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
তাঁদের ইসলামি ভাষণ শুনে আমল করলে
শ্রীরামপুর গ্রামের মানুষদের হবে জিত।

মরহুম নূরআলী মন্ডল গার্ডসাহেব
শ্রীরামপুর গ্রামের কৃতি
তাঁহার আমলে শ্রীরামপুরসহ এলাকার অনেকের চাকুরি দিয়েছেন
করেছেন স্বজনপ্রীতি।

বুঝতলা আবুবকর সিদ্দিকী সিনিয়র আলিম ম্রাদ্রাসার জমির ছিলেন যিনি দাঁতা
নামটি তাঁহার মরহুম নূরআলী গার্ডসাহেব
সম্পর্কে মনে হয় আমার পরদাদা।

ব্রিটিশ আমলে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ
ছিলেন বড়ই জ্ঞানী
বড়দের মুখে গার্ডসাহেব নামটি শুনেছি
তাইতো তাঁকে না দেখেও চিনি।

মরহুম মোঃ নূরআলী মন্ডল ছিলেন
রেলওয়েরর গার্ড প্রাক্তন
কবরেতে তিঁনি চিরসুখী থাক
শ্রীরামপুরের মানুষের মাঝে
তিনি বেঁচে থাকুক চিরন্তন।

এই গুণীজন মোঃ কোরবান আলী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র
ভাল কোন কাজ ছেড়ে দেয়ার
নয়তো তিঁনি পাত্র।



তিঁনি তো আজ বড়ই পন্ডিত
কাতার প্রবাসী
আচার- আচরণ দেখলে বোঝা যায়
তিঁনি কখনো লেখাপড়ায়
করেননি গড়িমসী।

এই গুণীজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অর্থনীতির ছাত্র
অর্থনীতিতে বড়ই পন্ডিত
ব্যক্তিজীবনে খুবই ভদ্র।

আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন
থাকতেন সূর্যসেনে
বিভিন্ন ভাল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতেন
অবাক হয়নি জেনে।

এই গুণীজনের ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের,
মোঃ বিল্লাল হোসেন লাল্টু
উচিত সব কাজকর্ম করেন
কথা বলেন না ফালতু।

তাইতো তিঁনি উপজেলা রুরাল
ডেভেলপমেন্ট অফিসার
সবাই তাঁকে সম্মোধন করে স্যার স্যার।

অর্থনীতির ফরহাদ হোসেন বর্তমান
সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার
ব্যক্তিজীবনে খুবই সৎ তিনি
বড়ই ভালো তাঁর আচার।

আমির আলি,জহুর আলি,আমজাদ, রেয়াজুল মহোদয়
করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ, তাঁরা মহান মুক্তিযোদ্ধা
তাইতো শ্রীরামপুরের গণমানুষ তাঁদের
করেন বিনম্র শ্রদ্ধা

এই গুণীজন ঢাবির ছাত্রী
পড়েছেন বিশ্বধর্মে
ব্যক্তি জীবন ইনিও সৎ ছিলেন
বোঝায় কাজকর্মে।

নামটি তাঁহার ফুফু জান্নাত চামিলি
একটি বড় চাকুরী পাবে নিশ্চয়
খুঁশি হবে তাঁর ফ্যামিলি।

এই গুণীজন মোঃ আব্দুল্লাহ আল
মামুন
ঢাবির ইতিহাসের ছাত্র
ভাল কোনো কাজ ছেড়ে দেওয়ার
ইনিও নয়তো পাত্র।

এই ছাত্রটি খুবই মেধাবী
বাস্তবতার মঞ্চে
চাকুরির সুবাদে ব্যাংকার হিসেবে
থাকেন নারায়ণগঞ্জে।

ইঁনার বোনটিও পড়েছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণে
দুইভাইবোন আজ কতই মেধাবী
সমাজের কল্যাণ বয়ে আনে।

এই গুণীজনের নাম মোঃ ইশারুল ইসালম যশোর এম, এম কলেজের ছাত্র

ব্যক্তিজজীবনে আছেন তিনি
মানবতার টপ র‍্যাংকে
চাকুরির সুবাদে ব্যাংকার হিসেবে
আছেন কর্মসংস্থান ব্যাংকে।

এই গুণীজনের নাম মোঃ আলাউদ্দীন
পড়েছেন কলারোয়া বিখ্যাত কলেজে
তিনিও একজন বড় ব্যাংকার
জানা আছে সবার নলেজে।

এই গুণীজনের নাম মোঃ রিপন এনামুল
রাজনীতিতে বলিষ্ট ভূমিকা যাঁর
মানব সম্পদ উন্নয়নেও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাঁর।

শ্রীরামপুর রেঁনেসা ক্লাবের বর্তমান সভাপতি যিনি,
ক্লাবটির নাম রেঁনেসা রেখেছিলেন তিনি।

এই গুণীজনের নাম মোঃ সোহরাব হোসেন ঝন্টু পড়েছেন ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞানে
শুনছি তিঁনি বড় অফিসার
হিসেবে কাজ করেন
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎের উন্নয়নে

এই গুণীজনের নাম মোঃ কামাল হোসেন পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিসিয়ান বোর্ডে কর্মরত আছেন,
নানা সুনাম আনছেন বয়ে।

এই গুণীজনের নাম মোঃ হায়দার আলী পড়েছেন ঢাবির গণযোগাযোগও সাংবাদিকতা বিভাগে

মৃত্যুর বয়স হয়নিকো তবুও পরপারে পড়ি জমিয়েছেন আগেভাগে।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
বুদ্ধিজীবী মানুষেতে ভরপুর।

নামটি তাঁহার-
মোঃ আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ

শ্রীরামপুরে ১৯৪৮ সালে জন্ম
ব্যক্তিজীবনে খুবই সৎ আছেন
করেছেন বহু মহৎ কর্ম।

শিক্ষা জীবনের শুরুরর দিকে
পড়েছেন বাঁগআচড়া হাইস্কুলে
জীবনটি তাঁর ভরে ছিল
হয়ত বসন্তের ফুলে ফুলে।

এরপর পড়েছেন-

যশোর এম,এম কলেজে
জ্ঞানীগুণীদের আছে জানা এটা নলেজে।
স্নাতক, স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন
বিশ্ববিদ্যালয় ছিল রাজশাহী
তাঁর উন্নতির পিছনে অনেকটা
এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল দায়ী।

দীর্ঘ দিন ছিলেন
কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ
ব্যক্তিজীবনে রেখেছিলেন
সফলতার সাক্ষ্য।

ফরিদপুর সরকারি কলেজ,
যশোর সিটি কলেজ,
সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে

শিক্ষক ছিলেন মাঝে
তাইতো তাঁদের শিক্ষা দিতেন
সকাল- দুপুর- সাঁঝে।

জামে মসজিদ, ঈদগাহ,প্রাইমারী স্কুল,হাইস্কুল, বুঝতলা মাদ্রাসা,
সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজ

প্রতিষ্ঠায় ছিলেন জড়িত
তাইতো আজও মহান তিঁনি
তাঁকে কেউ করতে পারিনি পীড়িত।

যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় হতে
পেয়েছিলেন
"ম্যান অব দ্য ইয়ার"
স্বীকৃতি

তাইতো তিঁনি হয়ে আছেন
শ্রীরামপুর তথা সারা বাংলাদেশের
কৃতি।

ব্যবহারিক ভূগোল তাঁহার লিখিত
একটি বিখ্যাত বই
মানবজীবনের প্রতিটি পদে
রেখেছেন সফলতার সই।

দুইপুত্র-পাঁচকন্যা সন্তানের জনক যিনি

আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মজিদ নামে
আমরা যাঁকে চিনি।

কনিষ্ট পুত্র এম, বি, বি, এস
অন্যসবাই মাস্টার্স
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাতে
তাঁদের স্থায়ী বসবাস।

গাঁয়ের নামটি শ্রীরামপুর
কর্মজীবীতে ভরপুর।

শিক্ষক আছে ভরিভরি
ক্লার্ক কত- শত
আপনার- আমার পশা হবে
যে যাঁর মনের মত।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।