"জ্যোৎস্নাত বৃক্ষছায়া"
- Md. Osmangani shuvo ২৯-০৩-২০২৪
চাঁদের আলোয় আলোকিত ধরণী
বৃক্ষছায়া পড়ে আছে উর্বর মৃত্তিকায়
ঘুঘরুপোকা ডেকে যাচ্ছে অবিরাম
সুনসান নীরবতায় সময় থেমে থাকে না।
কালের খেয়ায় উঠে যুগ চলে যায়
যুগের ঘূর্ণিপাকে পাক খায় মহাকাল
বিনিদ্র রজনী যাপন করতে পারে না
সন্ধ্যায় গরুপাল নিয়ে আসা রাখালছেলে।
একটি রঙিন স্বপ্নের অপমৃত্যুর ভয়ে
মুখ ফোটে না রাখালছেলের
পৃথিবীর কোন ব্যাপার নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তার
ক্ষমা না হয় যদি কোনো কোমল ভুলের।
জ্যোৎনা রজনীতে মানব মন পবিত্র হয়ে ওঠে
জীবন হয় কলঙ্কমুক্ত
ধরার বুকে নেমে আসে অনাবিল প্রশান্তি
ফুটে ওঠে সুপ্ত ভালোবাসাগুলো।
গ্রাম্য প্রকৃতির মাঝে যে নিজেকে
নিমগ্ন করতে পারিনি
তাঁর জীবন অনেকটা অপূর্ণ
একসময় সেটি হয়ে ওঠে বিষাদচূর্ণ।
আলোর নাচন পাখির কুজন
যে জন পারিনি দেখতে
বৃক্ষছায়ার পবিত্র ভালোবাসা
সে জন পারেনি মাখতে।
উন্মুখ-বিমুখ হয়ে রাখালছেলে
বিমুগ্ধ প্রকৃতির পানে চেয়ে উঠে
তার কিছু আগে
সদ্য কুঁড়ি থেকে গোলাপফুল ফোটে।
রৌদ্রময় জীবনের রৌদ্রে রৌদ্রে
কচি তনু কালচে বর্ণ হয়
আর নোলকপরা সুশ্রী গ্রাম্যবালিকা বলে
আমি পাশে আছি তোমার ভয় নাই।
রাখালছেলেদের অসামান্য অবদান
আমাদের এই পৃথিবীতে
তাঁর কারণে সকল কবিরা
আজকের এই আলোভরা নীল জ্যোৎস্নাতে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।