পঁচিশে মার্চ একাত্তর স্মরণে
- আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান ২৮-০৩-২০২৪

সায়ত্ব শাসন আদায়ে বাংলার মানুষ যখন ছয়দফা দাবী পেশ করলো,
লাগাতার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথ গণঅভ্যুত্থানে বিষ্ফোরিত হলো।
আপামর বাংলার মানুষ স্বচ্ছার হলো পাকিস্তানি জুলুমের প্রতিবাদে,
চাপা খোভের ভয়াভহ দাবানল ছড়িয়ে গেল গ্রামীন বাংলার হাটে ঘাটে।
পাকিস্তানের বঞ্চনা নিপিড়ন চলবেনা এদেশে জনতা দুঃখ-ক্রোধ হাকিল,
বঙ্গবন্ধুর ছত্র ছায়ায় বাংলার গণ মানুষ পূর্ণ একাত্বতা প্রকাশ করে দিলো।
উপায় না দেখে পাকিস্তানি কুচক্রী ভুট্টোগং দলেবলে ঢাকা হাজির হালো,
পরিস্থিতি উত্যপ্ত কেন- সমাধান চালাতে বঙ্গবন্ধুকে আমন্ত্রণ জানালো।
ঢাকা শহর থমথমে নানাহ জল্পনা-কল্পনা কি জানি হয় বাংলার আকাশে,
পাকিস্তানি চক্র রাজনৈতিক সমস্যা নিভাতে সমযতা চায় বঙ্গবন্ধু সকাশে।
সামরিক শাষক ইয়াহিয়া-ধুর্ত ভূট্টো দুজনই ছিল কট্টর ক্ষমতার লোভী,
বাঙ্গালীর ন্যায্য দাবী অযোক্তিক বলে দোষ চাপালো বঙ্গবন্ধু দেশদ্রোহী।
তেইশ বছরের শোষন অত্যাচার বাঙ্গালীর আর্তনাদ ইতিহাস এ বাংলায়,
জনাব শেখ মজিবুর রহমান উহাই বললেন পাকিস্তানি শাসকদের মামলায়।
সাত-ই মার্চ-একাত্তর বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা ছিল এদেশ মুক্ত করব ইনশাল্লাহ্,
খোদার করুনায় ইনশাল্লাহ্ হলো-মজলুম বঙ্গবন্ধুর নেকের ওজন পাল্লা।
সাত-ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন বাঙ্গালী জাতির মুক্তিযুদ্ধ দিক নির্দেশনা ছিল,
পাকিস্তানি দস্যু সেনাদল বিনাবিচারে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল।
ফেরাউন ইয়াহিয়া হামান ভূট্টো বাঙ্গালী নিধনের নীল নকশা ছক বানালো,
অতি গোপনে তলে তলে ওরা বিপুল সৈন্য বাংলার শহরে বন্দরে বিছালো।
টিক্কাখান- নব্য আইকম্যানকে বাংলায় রক্ত গঙ্গা বহাতে নির্দেশ আসলো,
পঁচিশে মার্চ-একাত্তর রাতে অপারেশন সার্চ লাইট নির্বিচারে গুলি ছুড়লো।
পাক-হিংস্র হায়নারা ঘুমন্ত নিরহ বাঙ্গালীদের উপর মেশিনগান চালালো,
রাস্তার অলিগলিতে ট্যাংকের গোলায় ঢাকা শহরে রক্তের বন্যা বহালো।
অসহায় বাঙ্গালীর অগনিত লাশের মিছিলে সয়লাব হলো সারা বাংলা,
পঁচিশে মার্চের রাত আতংকে আজও শিহরি দুঃসহ সেই স্মৃতির হামলা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।